কেউ কারো আত্মার পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে না। আত্মা স্রষ্টা তথা পরমাত্মারই অংশ, এ কারণে তার স্বাতন্ত্রের কোনো সীমা নেই। আপনি ধর্মের পথে চলবেন নাকি অধর্মের পথে চলবেন, আপনি সত্যকে গ্রহণ করবেন নাকি মিথ্যাকে আকড়ে ধরে থাকবেন সেটা আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সত্যের ধারকগণ, সত্য প্রচারকারীরা কেবল সত্যের আলো জ্বেলে সত্য দর্শনে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। সৃষ্টিগতভাবে প্রতিটা মানুষের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু খুব কম মানুষই যুক্তি–বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয়।
.
বেশিরভাগ মানুষ তার চেয়ে প্রভাবশালী, শক্তিমান মানুষের অনুকরণ করে, সত্য–মিথ্যা যাচাই করে না। কেউ অনুকরণ করে তার পিতা ও পূর্বপুরুষদের, কেউ অনুকরণ করে তার শিক্ষকের, কেউ অনুকরণ করে মোল্লা–পুরুতের, কেউ অনুকরণ করে রাজনৈতিক গুরুদের। তবে বর্তমানে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে মানুষ অন্ধভাবে পাশ্চাত্য ইহুদি–খ্রিষ্টানদেরই অনুকরণ করে চলেছে। যাদের অনুকরণ করা হয় অর্থাৎ অনুকরণীয় ব্যক্তিরাই যখন অন্যায় করতে থাকে তখন সমাজ চরমভাবে অন্যায়–অবিচারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সে অন্যায় থেকে মুক্ত হবার জন্য সমাজ স্বয়ং বিধ্বংস ঘটায়।
.
এই বিধ্বংসের পর নবনির্মানের জন্য কিছু সত্যনিষ্ঠ মানুষ প্রয়োজন। সেই সত্যনিষ্ঠ মানুষের জন্যই সমাজ প্রতীক্ষা করে। যখনই নবনির্মাণের জন্য একদল মানুষ এ ধরণীতে এসে যায় তখন বিধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে। বর্তমানেও এমন সময় উপস্থিত।