এতো সুন্দর মেয়ে। কিন্তু দেখো কপালটা কতো খারাপ..পিছে দুইটা মহিলার এমন আলোচনায় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে কুহেলি। আজ নয় এমন কানঘুষাঘুষি সবসময় শুনতে হয় তাকে শুধু তার মায়ের জন্য। ঘেমে একাকার মেয়েটা। হাতে বাজারের ব্যাগের থলে। বাজার থেকে ফিরছে কুহেলি। সাদা কামিজটা ঘামে প্রায় ল্যাপ্টে গেছে তার।
আজকেও খবরে দেখাচ্ছে দুইজন পুরুষের লাশ পাওয়া গেছে সরকের নদীর পাশে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরে এই লাশ সম্পর্কিত বিষয়টা বেশ তোরজড়িত হয়েছে। মিরা খবর দেখছে আর বলছে, আজকাল মানুষকে মেরে ফেলে মানুষ কিভাবে যে বেঁচে থাকে। বাসার কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দেয় মিরা। মুখে হাসির রেখা টেনে বললো, আপু এতো দেরি করলে যে ? কুহেলি কিছুটা হেসে বললো, আসলে কি বলবো বলতো বাজারে যা ভীর।আর তাছাড়া গরমে যা অবস্থা মানুষের কি আর বলবো। মিরা ভাবশীল হয়ে বললো,ওহ। আচ্ছা বাজারের ব্যাগটা দাও। যাও তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি এইসব কোটাবাছা শুরু করি। কুহেলি বললো,আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
কুহেলি রুমে এসে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গেলো। ওয়াশরুম থেকে আসতেই বিছানার কোনে দেখলো একটা চকলেট। চকলেট টা দেখে কুহেলি হাসে। কারণ সে জানে এইটা ভ্রমণ এর কাজ। রোজ কলেজ থেকে এসে একটা করে চকলেট কুহেলির রুমে রেখে যাবে এইটাই যেনো ভ্রমণের কাজ।
কিরে কুহু আপু কই বলতো? মিরা ভ্রমণের কথায় দা”য়ের নিচ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ভ্রমণের দিকে তাকালো। তাকিয়ে বললো,”আপু ঘরে নেই? ভ্রমণ হেয়ালি করে বললো, নাতো মনে হয় আর্য ভাইয়ার সাথে পালিয়ে গেছে ইশ এখন তোর কি হবে বলতো? তোকে কে আমার হাতের মাইর খাওয়া থেকে বাঁচাবে? মিরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই কুহেলি এসে বললো, ভ্রমণ শুরু করে দিলি? আর তোকেনা বলেছি? মিরাকে তুই নয় তুমি করে বলবি। আর মিরা তোর আপু বুজলি? ভ্রমণ চুপসে গেলো। কুহেলি কে সে অনেক ভয় পাই কিনা! কুহেলি গলাটা কাশি দিয়ে একটু হাক ছেড়ে আড়চোখে ভ্রমণের দিকে তাকিয়ে বললো, তুই রুমে যাবি নাকি ওইদিনের মতো মিরার হাতের স্পেশাল করলার চা খাবি? কথাটা বলতে দেরি ভ্রমণের উধাও হতে দেরি হয়নি। কুহেলি আর মিরা ভ্রমণের যাওয়ার পথে একবার তাকিয়ে একে অপরের দিকে চাহনি দিয়ে ফিক করে দুই বোন হেসে ফেললো।
আচ্ছা আপু আর্য ভাইয়াকে তোমার কেমন লাগে? মিরার প্রশ্নে কুহেলি ভীষম খেলো। মিরা তাড়াতাড়ি সামনে থাকা পানির গ্লাসটুকু বোনের মুখ পানে ধরলো। ভ্রমণ মনে মনে ভাবছে, এই মিরা গাধীটাও না…কি দরকার ছিলো খেতে বসে আপুকে এইসব প্রশ্ন করার? মিরা বললো,আপু আরো পানি খাবে? কুহেলি গম্ভীর কন্ঠে বললো,না। আর খেতে বসে কথা বলতে নেই জানিসনা? চুপচাপ খেয়ে পড়তে বস তোরা..এইটা বলেই কুহেলি খাওয়ায় মন দিলো আর মিরা চুপসে গিয়ে একবার ভ্রমণের দিকে তাকালো। ভ্রমণ যেনো রাগে কটমট করতে করতে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে মিরাকে। কুহেলি দুই ভাই- বোনের এইসব লক্ষ করছে। কুহেলি খেতে খেতে বললো, টেবিল কি ফিসফিস করার জায়গা? এইটা শুনে মিরা আর ভ্রমণ থতমত হয়ে খাওয়ায় মন দিলো।
এই তোকে বলছিলাম ওইসময় আপুকে এইসব প্রশ্ন করতে? ভ্রমণ পড়ার টেবিলে বসে রেগে কথাটা বললো। তার সামনাসামনি চেয়ারে মিরা লিখছিলো। কলমটা খাতার উপর রেখে ভেঙু করে বললো, তা তোর যেহেতু এতোই শখ ছিলো আপু আর্য ভাইয়াকে পছন্দ করে কিনা তাহলে নিজে কেনো বললিনা যত্তসব। ভ্রমণ এইবার ফোঁড়ন কেটে বললো, ওমা আমিতো তোদের ভাই আমার আলাদা একটা রেসপেক্ট আছেনা? মিরা মুখ বেংচি কেটে বললো,ওরে আসছে আমার মাস্টারের মতো ঢংখোর ভাই। “ফের যদি তোদের আর একটাও ঝগড়া করার আওয়াজ পাই তাহলে মুরগি বানিয়ে বসিয়ে রাখবো” অপর রুম থেকে বড় বোন কুহেলির এমন রেগে এবং সতর্কবাণী শুনে দুই ভাই-বোন চুপসে যায়।
ভাই-বোনের কোনোরকম তর্ক বিতর্কের আওয়াজ না পেয়ে একটা সস্তির নিশ্বাস ছাড়ে কুহেলি। কুহেলি ভ্রমণ আর মিরার কান্ডের কথা ভেবে আনমনেই হেসে উঠলো৷ বিছানায় শুয়ে ভাবছে,মিরার করা প্রশ্নটা “আপু আর্য ভাইয়াকে তুমি পছন্দ করো”? কুহেলি নিজের মনকে শক্ত করে বলে,না আমি কাউকে পছন্দ করিনা। আমার ভাইবোনরাই আমার কাছে সব পরে অন্যসবকিছু্। ফোনের রিংটোনে ভাবনার ছেদ ঘটে কুহেলির। ফোনের স্কিনে ” আর্য” নামটা ঝলমল করছে। প্রথমবার কলটা এড়িয়ে গেলেও পুনরায় কল আসতেই কুহেলি বাধ্য হয়ে ধরতে হলো। ওপাশ থেকে আর্য বলছে, “কুহেলিকা আপনাকে কল দিয়ে বিরক্ত করলাম বোধহয় তাইনা? এই কুহেলি নামটা আর্য আরেকটু অন্যরকম ভাবে সাজিয়ে ভালোবেসে কুহেলিকা ডাকে। কুহেলি অসস্তি ফিল করলেও তা প্রকাশ না করে বললো, না আর্য বিরক্ত হবো কেনো? তা হঠাৎ ফোন দিলেন যে কোনো দরকার? ওপাশ থেকে আর্য অস্ফুট স্বরে বললো,”কেনো দরকার ছাড়া বুঝি আপনাকে কল দেওয়া বারণ আমার? কুহেলি স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো, তা হবে কেনো? কল তো দিতেই পারেন। তা ভ্রমণ আর মিরার পড়াশোনার কি অবস্থা? ওরা ঠিকভাবে পড়া দিতে পারেতো? আর্য বললো, জ্বি ওরা ঠিকমতো পড়া দেয় ইভেন্ট ভ্রমণ আর মিরা অংকতে ভালো নাম্বারও পেয়েছে। কুহেলি বললো, বুঝলাম। আর্য নেশাধরা কন্ঠে বললো,যাদের আপনার মতো একজন বড় বোন আছে তারাতো সর্বদাই সবকিছুতে এগিয়ে থাকবে। আচ্ছা কুহেলিকা কাল একবার দেখা করবেন? কুহেলি কেঁপে উঠে। কারণ সে জানে বরাবরের মতো এইবারো আর্য একটাই কথা বলবে আর তা হলো ” কুহেলিকা আমাকে একটুও ভালোবাসা যায়না?
শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে আটখোরা একটা রুম থেকে বেরিয়ে যায় মধ্যবয়সী একজন পুরুষ। এলোমেলো বিছানা থেকে শাড়ীটা নিয়ে কোনোরকম পেছিয়ে পড়ে নেন শ্যামলা। এখনো তার শরীরে পরপুরুষের স্পর্শের গন্ধ লেগে আছে। কিয়ে শ্যামলা..আইজকা নগেন কেমন সুখ দিলো? পান চিবোতে চিবোতে লাল দাঁত গুলো কেলিয়ে কথাটা বললো দিপালি। শ্যামলা একটা বিশ্রী হাসি দিয়ে বললো, ভালোই টেহা পাইছি।
আপু একটু আগে বাড়িওয়ালার ছেলে আরশিন ভাই এসেছিলো” ভ্রমণের মুখে এই কথাটা শুনে হাতের মুঠোয় শক্ত করে ফেলে কুহেলি।
“তুই আর মিরা কলেজে চলে যা আমি একটু পরই আসছি…এইটা বলেই রুমে চলে যায় কুহেলি। চোখ লাল হয়ে গেছে রাগে। নিজেই নিজেকে বলছে, ” ভাড়া থাকি বলে যা ইচ্ছে তা করবে? নাহ..এইটার একটা বিহিৎ করতেই হবে। আজই বাড়িওয়ালা চাচার সাথে কথা বলতে হবে।
এই তোর সাহস কি করে হয় আমাকে থাপ্পড় মারার? আরশিন এক গালে এক হাত রেখে চোয়াল শক্ত করে কুহেলির দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো। কুহেলি এক আঙুল নেড়ে বললো, “এই কাজটা আমার অনেক আগে করার উচিৎ ছিলো। আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে আজে-বাজে কথা বলার? আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে বাজে প্রস্তাব দেওয়ার? মেয়েদেরকে কি ভাবেন কি আপনারা? কীটপতঙ্গ ভাবেন? আপনারা ভুল..আমরা মেয়েরা কীটপতঙ্গ নয়..আধারে শক্তি।
কুহেলি বাড়িওয়ালার কাছে যাচ্ছিলো আরশিনের নামে অভিযোগ করতে। গেইটে ডুকতে গিয়ে ” এই এক রাত কতো টাকা? এই কথাটা শুনতেই থমকে যায় সে। পেছনে তাকিয়ে দেখে আরশিন। আরশিনের সাথে তার চেলাপেলা একসাথে বিশ্রীভাবে হাসছে।
বাড়িওয়ালা আজমল সাহেব বাইরে এতো চিৎকার চেচামেচি শুনে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। এসে দেখে আরশিন আর কুহেলি। আজমল সাহেব বললো, “আরে মা তুমি এইখানে? আর আরশিন তুই এইখানে কি করছিস?
বাবা..আজই তোমার ভাড়াটে কে বলো বাসা থেকে বের হয়ে যেতে..নয়তো আমি ওর এমন হাল করবো যে ওহ আর…কথাটা বলে কুহেলির দিকে বাজে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে স্থান ত্যাগ করলো আরশিন।
মা কিছু বলবা?
চাচা আমরা বাসাটা ছেড়ে দিবো সামনের মাসে।
কেনো মা? এইখানে থাকতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?
চাচা আপনার ছেলেই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা আমার।
মা..এরপর থেকে আরশিন তোমার সাথে আর কোনো অসভ্যতামো করবেনা কথা দিচ্ছি।
বাড়িওয়ালা আজমল সাহেব শেষের কথাটা খুব করুন কন্ঠে বলাতে কুহেলি বললো,ঠিক আছে চাচা..আজ আমি আসি কলেজে যেতে হবে..এইটা বলেই কুহেলি চলে আসলো।
আজমল সাহেব গোপনে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। এতো কিছু করেও ছেলেটাকে তিনি মানুষ করতে পারেননি। টাকা-পয়সার কোনো অভাব নেই তার। অথচ মনে এক ফোঁটা শান্তির রেশ মাত্র নেই।
কুহেলিকা… হঠাৎ কারো ডাকে স্তব্ধ হয়ে যায় কুহেলির হৃদয়স্পর্শী। সেতো জানে কে ডাকছে তাকে। কুহেলি ফিরে তাকিয়ে দেখলো মুখে খোচাঁ খোঁচা দাড়ি.. চুলগুলো সাধারণ ভাবে আচড়ানো..সাদা ফ্রেমের মোটা চশমা, সাদা শার্ট সাদা স্মোথ প্যান্টের সাথে ইন করা,হাতে কালো রঙের ঘড়ি পড়া..হাতে প্রেজেন্টেশেনের খাতাটা নিয়ে ছেলেটা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। কুহেলি কোনোরকম হেসে বললো,” আর্য আপনি?
“কেনো অন্য কাউকে আশা করেছিলে?
” না তা নয়।
আজ কলেজ শেষে কফি শপে যাবো আমার জন্য অপেক্ষা করবেন কিন্তু…
কুহেলি কিছুটা জোরপূর্বক হেসে বললো আচ্ছা।
আপনাকে কালো শাড়ীতে বেশ মানিয়েছে।
বেশি বলছেন?
মোটেও না।
আচ্ছা আসি তাহলে ক্লাস আছে..
ঠিক আছে..আর্য কিছুটা আলতো হাসে।
কুহেলি এই কলেজের টিচার। ইংরেজি টিচার। আর আর্য সাইন্স টিচার। আর এই কলেজেই পড়ে মিরা আর ভ্রমণ।
দেশে এতো এতো খুন কে করছে? প্রতিদিন কোথাও না কোথাও লাশ পাওয়াই যাচ্ছে কি করছেন আপনারা? পুলিশ টিমের হেড এর কথা শুনে ইন্সপেক্টর আদি বললো, স্যার..আমরা জানিনা এই খুন কে করছে..কিন্তু আমরাতো ওই “দামিনীকে”খুঁজে বের করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি..।
না চেষ্টা নয়,ওই সাইকো নামের খুনিটাকে সামনে চায়..গট ইট? এইটা বলেই তিনি চলে গেলেন মিটিং রুম থেকে।
স্যার কি করবো এখন আমরা? স্যারতো আমাদের উপর আরো বেশি প্রেশার ক্রিয়েট করছে..একজন পুলিশ সদস্য কথাটি খুব চিন্তিত ভঙিতে বললেন।
ইন্সপেক্টর আদি কলমটা ঘুরাতে ঘুরাতে বললেন, খুঁজেতো বের করতেই হবে। কি সুন্দর এতো এতো খুন করছে। সবগুলো লাশের খুনই বেশ দক্ষ হাতে হয়েছে। কি অদ্ভুত তাইনা? আর সবচেয়ে বেশি অদ্ভুত কারণ হলো চিন্হ হিসেবে খুনি প্রতেকটা লাশের পাশে ..কনডম রেখে যায়। আর কনডমের সাথে একটা চিরকুট। যাতে গোটা গোটা অক্ষরে লিখা থাকে “দামিনী”
“স্যার যারা যারা খুন হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়েই একটা সিক্রেট টপিক জানতে পেরেছি” ইনস্পেক্টর আদি ভ্রু কুঁচকে বললো, কি?
“স্যার তাদের মধ্যে যে পুরুষগুলো মারা গেছে তারা সবাই বউ রেখেও অন্য রিলেশনে ছিলো। সেইম ব্যাপার ওই মহিলা লাশগুলোর ক্ষেত্রেও”
“তার মানে খুনী ওইসব মানুষগুলোকে হত্যা করছে যারা পরকীয়ায় লিপ্ত! ইন্টারেসটিং টপিকতো।
কুহেলিকা আমাকে একটু ভালোবাসা যায়না? কুহেলি কফিতে চুম্বক দিতে যাবে তার আগেই আর্যর কথা শুনে ভাবশেলীন হয়ে এক চিলতে হাসে সে। কারণ সে জানতো আর্য তাকে বরাবরের মতো একি প্রশ্ন করবে।
কি হলো বলো কুহেলিকা..
আর্য জানেন? কিছু কিছু ফুল কারো স্পর্শ পাওয়ার আগেই ঝড়ে পড়ে। ভাবশেলীন হয়ে কথাটা বলেই কফির মগটা টেবিলে রেখে দ্রুত গতিতে পা চালিয়ে কফি শপ থেকে বেরিয়ে যায় কুহেলি।
” আপনাকে আমি বড্ড ভালোবাসি কুহেলিকা” এইটা বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আর্য।
কিরে মিরা কুহু আপু কোথায় বলতো? ভ্রমণের কথায় মিরা বই থেকে মুখটা তুলে বিরক্ত কন্ঠে বললো,”ওফ আমি কি করে জানবো? হয়তো কোনো কাজে বের হয়েছে আপু।
“আচ্ছা আর্য ভাইয়ার সাথে কোথাও যায়নিতো? উৎকন্ঠা স্বরে কথাটা বলেই ভ্রমণ মিরার দিকে তাকালো জবাবের আশায়। কিন্তু মিরা পাত্তাই দিলোনা। কলিংবেল বাজতেই মিরা টেবিল থেকে উঠে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললো। কারণ সে জানে কুহেলি এসেছে।
সরুন সরুন..দেখতে দিন আমাদেরকে..কথাটা বলেই একজন পুলিশ ভীর ঠেলে ভেতরে থাকা একটা মহিলার লাশ দেখতে পেলো।
স্যার এই মহিলাটিকেও খুন করা হয়েছে আর ওনার পাশেও কনডম আর চিরকুট পাওয়া গেছে।
ইন্সপেক্টর আদি থুতনিতে হাত ভাজ করে বললো, ” আই সি…ওনিও মেবি পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলো আচ্ছা লাশটাকে ফরেনসিক ল্যাভে পাঠাও।
সদ্য গোসল করে কুহেলি গামছাটা চুলে পেছিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই কলিংবেলের শব্দে দরজা খুললো সে। পুলিশ দেখে চমকে উঠে সে। প্রশ্নাত্মক দৃষ্টি রেখে বললো, আপনারা?
“আপনি কুহেলি?
জ্বি।কেনো?
আপনার মা শ্যামলাকে কেউ নিমর্মভাবে খুন করেছে।
চলবে… …