বৃষ্টি হয়ে নামো  [পর্ব-২৭]

]জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় তখন।আকাশ আগুন রাঙা।সূর্য ডুবছে ধীরে ধীরে।ধারা এক পলকে তাকিয়ে আছে সূর্যের দিকে।সূর্যের চারপাশ আগুনের গোলার মত জ্বলজ্বল করছে।ফোনের রিংটোনে ধারার সম্বিৎ ফিরে।ফোনের স্ক্রিনে দেখে বিভোরের নাম।ধারা রিসিভড করলো।

—–“হ্যালো?” 

—–“সারাদিন যে কল করোনি।”

—-“রাতে না আমাদের ঝগড়া হলো।তো কল কেন করবো?”

বিভোর হাসলো।বললো,

—-“এখনো রেগে আছো?”

ধারা কিছু বললোনা।বিভোর বললো,

—-“শুনোনা আজ কি হলো।আমার সিনিয়র অফিস কলিগ প্রপোজ করছে!”

বলেই বিভোর হো হো করে হেসে উঠে।ধারা কোনো রিয়েক্টই করলোনা।বিভোর হাসতে হাসতে বললো,

—–“ভাবো ব্যাপারটা।আমার অনেক বছরের বড়। বিবাহিতা।পনেরো বছরের মেয়ে আছে।স্বামী মারা গেছে এক বছর হলো।আর উনি এখন আমাকে চয়েজ করেছেন।ক্যান্টিনে হুট করে এসে হাটুগেড়ে বসে।কি বলে জানো? বলে, বিভোর আমি তোমাকে বিবাহ করতে চাই।তুমি কি রাজি?”

বিভোর কয়েক সেকেন্ড এক নিঃশ্বাসে হাসলো।ধারাও হাসছে বিভোরের হাসি শুনে।বিভোর হাসি কোনোমতে আটকে বললো,

—-“তখন মনে হচ্ছিলো আমার কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।তোতলিয়ে কোনোমতে বলি, আন্টি আমি বিবাহিত। “

বিভোর আবার হাসতে থাকে।ধারাও আওয়াজ করে হেসে উঠে।ধারা বললো,

—-“ইশ!কত বড় ছ্যাঁকা।কিন্তু এতো হাসির কি হলো হে?তুমি উনার ভালবাসাকে অপমান করছো।ভালবাসতেই পারে।”

বিভোর ধারার কথা শুনে আরো বেশি হাসতে থাকে।ধারা ভ্রু কুঁচকে ফেলে। বিভোর বললো,

—-“এই আন্টি টা এর আগে আমার অফিস কলিগ রাজীব আর প্রণয়কে প্রপোজ করছে।”

ধারা চোখ-মুখ খিঁচে বলে, 

—-“কিহ?উনার কি মান সম্মান নাই?তোমার অফিসের বসই বা কেমন?এমন একজনকে অফিসে রাখলো কেনো?”

—-“বসের চাচাতো বোন তাই রাখছে।ছোট থেকেই নাকি উনার মাথায় গন্ডগোল শুনছি।”

—-“ওহ।পাবনা জাতীয় কেস।”

বিভোর কন্ঠে হাসি রেখেই বললো,

—-“যাই হোক।আমার লাইফের স্বরণীয় প্রপোজ ছিল এইটা।”

বলেই বিভোর হাসা শুরু করে।ধারা বলে,

—-“আমি একটা কাহিনি বলি?”

—-“বলো।”

—-“তখন ক্লাস নাইনে পড়ি।সকাল সাতটায় কোচিং করতে যেতাম।আমার ব্যাচে একটা ছেলে ছিল।নাম আসিফ।খুবই ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল।সবসময় চোখে চশমা পড়তো।আর একটু বোকা ছিল।তো আসিফ আমার প্রেমে পড়ে।তাই আমার পাশে বসতো সবসময়। প্রত্যেকদিন সকালে এসে আমাকে ছন্দ বলতো।”

বিভোর আগ্রহ নিয়ে বললো,

—-“কিরকম?”

—-“বলছি দাঁড়াও।আমার পাশে এসে বসে।চোখের চশমাটা ঠিক করে আমাকে গানের সুরের মতো ডাকতো, “এ্যাঁইইই ধারা। ” আমি তাকাতাম।তখন কাচুমাচু হয়ে লাজুক ভঙ্গিতে বলতো, 

“ঘুম ঘুম রাত শেষে,

সূর্য আবার উঠলো হেসে।

ফুটলো আবার ভোরের আলো,

দিনটা তোমার কাটুক ভালো।

শুরু হল নতুন দিন,

তোমাকে জানাই গুড মর্নিং।”

ধারা হাসে। সাথে বিভোরও।এরপর ধারা বললো,

—-“কোচিংয়ের এক্সামে ফেইল করি।তাই স্যার আবার পরীক্ষা নিতে চান একা আমার।আমি প্রস্তুতি নিয়ে আসি পরীক্ষা দিতে।তখন ওই আসিফ আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।কাচুমাচু হয়ে মুখটা লজ্জায় টমেটো করে বলছিল,

আকাশের জন্য নীলিমা,

চাঁদের জন্য পূর্নিমা,

পাহাড়ের জন্য ঝর্না,

নদীর জন্য মোহনা,

আর তোমাদের জন্য রইলো

শুভ কামনা।

ইনশাআল্লাহ তুমি পরীক্ষায় পাস করবা।”

বিভোর আর ধারা একসাথে হেসে উঠলো। মুখে হাসি রেখেই বিভোর বললো,

—-“প্রপোজ করেনি কোনোদিন? “

—-“না করেনি।”

—-“কথাগুলো ভালোই মিলানো।ও বানাইতো?”

—-“আরেএ না।বই থেকে মুখস্থ করে আসতো।আমাকে পটাতে।”

—-“আচ্ছা আচ্ছা!তো রাজকন্যার রাগ কমেছে?”

—-“উহু।”

—-“কীভাবে ভাঙ্গবে?”

—-“এভারেস্টে নিয়ে যাবা যদি বলো।”

—-“গতকাল কত বুঝালাম তোমাকে?তুমি ঠান্ডা সহ্য করতে পারোনা।বরফের পর্বত কেমনে জয় করবা?”

—-“তুমি আছোনা?”

—-“আমি কিছুই করতে পারবোনা ধারা।বুঝোনা কেন।তোমাকে সাহায্য করতে পারবে একমাত্র শেরপা।কিন্তু ওই প্রতিকূল রুখতে হবেতো তোমার।”

—-“রুখবো।আর শেরপা কি?”

—-” পর্বতশৃঙ্গের গাইড হিসেবে কাজ করে যারা তাদের শেরপা বলে।এটা একটা উপাধি।”

—-“ওহ।কি সাহায্য করে ওরা?”

—-“পর্বতের পথ দেখিয়ে দেয়।আর অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করে।”

—-“কিসের অক্সিজেন? “

—-“কিছুইতো জানোনা আর এভারেস্ট চড়ার জেদ ধরছো।এভারেস্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষ থাকলে নিশ্চিত মৃত্যু।ওখানে অক্সিজেন নেই।”

—-“আচ্ছা শেরপা নিবো।গাইড হিসেবে।”

—-“ধারা পাগলামি করোনা।”

—-“গতকালও বলছি।আজো বলছি,আমাকে তুমি সাহায্য না করলে অন্য কারোর সাহায্য নেবো।ভুল প্রশিক্ষণ নিয়ে মরতে যাবো এভারেস্ট। “

বিভোর রাগে চিৎকার করে উঠে,

—-“ফোন করবানা আর আমাকে।এই জেদ যদি না ছাড়তে পারো।”

বিভোর কল কেটে দেয়।ধারা হতবাক হয়ে যায়। বিভোর বকেছে!গাল বেয়ে জল নেমে আসে।দশ মিনিটের মাথায় বিভোরই কল করে।ধারা রিসিভড করে তবে কথা বলেনা।বিভোর বললো,

—-“শুনো ধারা।কিছু কথা বলি।মনোযোগ দিয়ে শুনো।পর্বত চড়ার কিছু সাবধানী বাণী আছে সেই সব সাবধানবানী অনেকেই মানেনা এখন। এভারেস্টে চড়া যেন গাইড নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার মতো হয়ে গেছে। স্বল্প প্রশিক্ষন আর অভিজ্ঞতা নিয়েই শৃঙ্গ জয় করতে বেরিয়ে পড়ছে অনেকে।আর এতে মৃত্যু কবলে পড়ছে অনেকে।কেউ কেউ কিছু পথ পাড়ি দিয়েই ফিরে আসছে।তুমি উপযুক্ত না এভারেস্টের জন্য।বুঝো একটু?”

—-“আমি….

বিভোর ধারাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,

—-“শুনো।পর্বতরোহী মি. মুখার্জী বলছিলেন, তিনি নিজে যখন এভারেস্ট জয় করে নীচে নামছিলেন, তখন এক বিদেশি যুবককে দেখেছিলেন যবুথবু হয়ে বসে আছে। যুবকটি নাকি নীচে নামতে ভয় পাচ্ছিল।মি.মুখার্জী জিজ্ঞাসা করাতে ওই যুবক জবাব দিয়ে ছিল যে সে এভারেস্ট শৃঙ্গে চড়েছেন ঠিকই শেরপার সাহায্যে।কিন্তু এখন আর নামতে পারছে না।কারণ ওই যুবক নাকি পর্বতারোহী-ই নন। কয়েকদিনের প্রশিক্ষন নিয়েই এভারেস্ট জয় করতে চলে আসছে।ভাবো তাহলে?আমি মার্চ-এপ্রিলেই বেরিয়ে পড়বো।হাতে সময় বড়জোর দু’মাস।”

—-“দু’মাসের প্রশিক্ষণে হবেনা?যত কঠিন প্রশিক্ষণই হোক আমি করবো।তবুও প্লীজ সাথে নিয়ে চলো।”

বিভোর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললো,

—-“শুধুমাত্র ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলেই চলবে না ধারা।মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে হলে মোটা অঙ্কের কিছু টাকাও সঙ্গে রাখা বাঞ্ছনীয়।টাকা বেশি না উড়িয়েও যাওয়া যায়।তবে সেটা রিক্স।এভারেস্ট অভিযানের জন্য প্রত্যেক জনপ্রতি গড়ে প্রায় ৪০ হাজার ডলার বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।অঙ্কটা বেড়ে অনেক সময় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলারে বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা গিয়ে দাঁড়ায়। টাকার অঙ্কটা যতই বাড়বে সেখানকার ক্যাম্পিংয়ে ততই সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।একাধিক রুমের তাঁবু, ডাইনিং, সৌর বিদ্যুৎ, হট শাওয়ার, ব্যাক্তিগত ডাক্তার।এখন বলো এতো টাকা কই পাবা?জানি তোমার বাপ ভাইয়ের অনেক টাকা আছে।ওরা দিবে এভারেস্টের জন্য?মিথ্যে বলেতো আর এতো টাকা নিতে পারবানা।”

—-“চেষ্টা করবো।দিবে।তুমি শুধু রাজি হও।”

 বিরক্তিতে বিভোরের কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে।লম্বা করে দম নিয়ে বললো,

—-“বাপ,ভাইকে রাজি করাও।আর মাসের শেষে দার্জিলিং যাবা প্রশিক্ষণের জন্য।আর এই সপ্তাহর মাঝে ঢাকা চলে আসো।তোমাকে বরফের ভেতর চেপে ধরে রাখবো।”

—-“কেনো?”

—-“ঠান্ডা সইতে শিখতে হবে তোমার আগে।বিষে বিষক্ষয়।ঠান্ডাতে থেকে ঠান্ডায় থাকার অভ্যাস করবে।তারপর পর্বত।দিশারির বাসায় এসে উঠো।আমি যতটুকু পারি খালি হাতে কিছু টেকনিক শিখাবো।তারপর পর্বত যাবা নাকি যাবানা ভাববো।”

ধারা খুশিতে লাফিয়ে উঠে।

—-“সত্যিইইইইই!হুররে।আমি যাচ্ছি এভারেস্ট।”

—-“জ্বে না উপযুক্ত মনে হলে তবেই সায় দেব।”

—-“আমি উপযুক্ত হবোই দেখ।”

—-“আচ্ছা দেখবো।আপাতত এই শীতের কনকনে ঠাণ্ডায় ঘরে বসে এভারেস্টের স্বাদ নিতে চাইলে দেখে নেও জেসন ক্লার্ক, রবিন রাইট, জশ ব্রলিন, কিরা নাইটলি, স্যাম ওয়ারদিংটন,জেইক এদের অভিনীত সত্যি ঘটনার অবলম্বনে মুভি “এভারেস্ট”। অনেক কিছু বুঝতে পারবে।এভারেস্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে।”

—-“ওকে।আর, এই মাসেই নাকি দিশা আপু আর সায়ন ভাইয়ের বিয়ে?”

—-“শিওর জানোনা?”

—-“জানি।গতকাল ফুফি কল দিলো।বাবাই কথা বলেনি।দাওয়াত দিলো।আর ১১ দিন পর বিয়ে।বাবাই আমাকে আর ভাইয়াদের যেতে বলছে।”.

—-“তাহলে তো হলোই।বলো,দিশারি বলছে আগে আগে তোমাকে যেতে।একসাথে শপিং করবে বলে।আর আরো প্ল্যান আছে।”

—-“ওকে।”

_____________________________________________

রাতের ডিনার শেষে ধারা বললো,

—-“আমি এভারেস্ট জয় করতে চাই।”

সাফায়েতের মুখ থেকে পানি বেরিয়ে আসে।সামিত,শাফি চোখ বড় বড় করে তাকায়।আজিজুর নিজেকে সামলিয়ে বলেন,

—-“কি বললা আম্মা?”

ধারা চোয়াল শক্ত করে সাফায়েতের দিকে তাকায়।তারপর গলা নরম করে আজিজুরকে বললো,

—-“আমি এভারেস্ট চড়বো।মাউন্ট এভারেস্ট। জয় করে ফিরবো।আমার টাকা দরকার।প্লীজ বাবাই দিবে?প্লীজজ।”

সামিত ধারার মুখ দেখে বুঝে ধারা সিরিয়াস।সামিতের মাউন্ট এভারেস্ট নিয়ে ধারণা নেই।সে কন্ঠে চমকানো ভাব নিয়ে বললো,

—-“সিদ্রাতুল, তুই সিরিয়াস?”

ধারা ভাইদের রিয়েক্ট দেখে কেঁদে দিবে অবস্থা।সত্যি কেঁদে ফেলে।

—-“প্লীজ ভাইয়া।আমি কড়া প্রশিক্ষণ নিয়ে উপযুক্ত হয়ে তবেই যাবো।প্লীজ।”

ধারার চোখের জল দেখে সবাই চুপসে যায়।লিয়া মুখ খুলে,

—-“ধারা যখন চাইছে।দিয়ে দেন বাবাই।”

শেখ আজিজুর স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন।ধারা ঢোক গিলে কিছু কথা সাজিয়ে নেয়।এভারেস্ট নিয়ে কিছু বানোয়াট গল্প শোনায় ভাইদের আর বাবাকে।

যা থেকে বুঝা যায় এভারেস্ট আসলে কঠিন কিছুইনা।টাকা বেশি দিলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত। সাফায়েত বললো,

—-“কত টাকা?”

ধারা মাথা চুলকাতে চুলকাতে সবাইকে এক নজরে দেখে নেয়।তারপর বললো,

—-” ৪০ লক্ষ হলেই হবে।চাইলে এক কোটিও দিতে পারো।”

শাফির হিচকি উঠে।মাইশা পানি এগিয়ে দেয়।সামিত বললো, 

—-“এত টাকা দিয়ে কি হবে?”

—-“জিনিসপত্র কিনতে হবে।পারমিট নিতেই ১৭ লক্ষ লাগে।শেরপাদের ও টাকা দিতে হয়।আবার অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে হবে।এর আগে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।বিশ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে টাকা লাগবে।আরো অনেক কিছু।”

আজিজুর,আর তিন ছেলে একজন আরেকজনের দিকে তাকায়।ধারার দম আটকে আসছে মনে হচ্ছে।যদি না করে দেয়।ধারা দ্রত উঠে দাঁড়ায়।মায়ের মাথায় হাত রেখে দ্রুত বলে ফেলে,

—-“এভারেস্ট থেকে ফেরার পর আমার কাছে বিনিময়ে যা চাইবা তোমরা দেব।এই যে আম্মুর মাথায় হাত রেখে বলছি।”

তিব্বিয়া খাতুন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান।তিনি ঝটকা মেরে ধারার হাত সরিয়ে দেন।ধারা দৌড়ে এসে আজিজুরের পায়ে পড়ে বিলাপ করে উঠে,

—-“বাবাই প্লীজ।প্লীজ।আমাকে অনুমতি দাও আর টাকা দাও।ভাবো? তোমার মেয়ে এভারেস্ট জয় করে ফিরছে কত সাংবাদিক আসবে।নিউজে খবর ছড়াবে।সবাই বলবে শেখ আজিজুরের মেয়ে।কত কিছু হবে তাইনা?এইযে এখন তোমার সম্মান নাই সমাজে তখন আমি জয়ী হয়ে ফিরলে সম্মানে আকাশে উড়তে পারবা।আর সৈয়দ বাড়ির মানুষরা বুঝবো তুমি কেমন হীরার টুকরা মেয়ে জন্ম দিছো।প্লীজ বাবাই।প্লীজ।আমি প্রমিস করছি বিনিময়ে যা বলবা শুনবো।”

ধারার কথা আজিজুরের মনে লাগে।তিনি মেয়েকে তুলে বলেন, 

—-“ওকে যা দেবো।জয়ী হয়ে ফিরবি কিন্তু।তখন দেখিস ওই সৈয়দ বংশের মুখে কি চুলকানি টা পড়ে।হে!যে মেয়েকে তাঁরা দূর ছাই ভাবে।সেই মেয়ে এভারেস্ট জয় করে ফিরবে ভাবা যায়?”

শেখ আজিজুরের চোখে ভেসে উঠে,সৈয়দ দেলোয়ার শেখ আজিজুরের পায়ে পড়ে তাঁর মেয়েক বউ করতে চাইছে।উফ!ভাবতেই বুকটা ফুলে যাচ্ছে গর্বে।ধারা খুশিতে গদগদ হয়ে বাবাকে সালাম করে।এরপর বলে, 

—-“আমি কাল ঢাকা যেতে চাচ্ছি বাবা।দিশা আপু কল করছিল।কয়দিন পর তো বিয়ে।আমাকে একটু আগে থেকেই চাইছে পাশে।”

—-“যা।সাবধানে থাকবি।”

চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *