মিসেস কুহেলি প্লিজ বলুন কেনো আপনি আপনার মায়ের সঙ্গে থাকতেন না? একজন পুলিশের কথা শুনে কুহেলি কোনোরকম হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে বললো, আপনাদেরকে আমি বলতে বাধ্য নয়।
হ্যা আপনি বলতে বাধ্য মিস কুহেলি কারণ এইটা একটা বড় খুনিকে ধরার বিষয়”..হঠাৎ কারো কন্ঠে এই কথাটা শুনে পিছনে তাকায় কুহেলি। তাকিয়ে দেখে ইন্সপেক্টর আদি। ইন্সপেক্টর আদি টেবিলে টুপি আর লাঠিটা রেখে বললো, “আচ্ছা এমন নয়তো যে আপনি কোনো কথা লোকাচ্ছেন আমার থেকে? কুহেলি শক্ত কন্ঠে বললো, ” কেউ অপরাধ করলে লোকায় আর আমিতো বোধহয় কোনো অপরাধ করিনি তাইনা অফিসার? এইটা বলেই কুহেলি চলে যাচ্ছিলো থানা থেকে একটা কথায় থমকে যায়। ইন্সপেক্টর আদি পেছন থেকে বললো, “আপনার মায়ের পরকীয়ার জন্য আপনি একসাথে থাকতেন না মিস কুহেলি?
তাড়াতাড়ি কর..কেউ এসে পড়বে এইটা বলেই আহিম ও তার দুই বন্ধু ১৬ বছর বয়সী নিশমিকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। গড়ন জঙ্গলে নিশমির আর্তনাদ কারো কানে যায়নি। শুধু সাক্ষী হিসেবে ছিলো তিমির মিশ্রীত প্রকৃতি।
মিরা বাড়ি ফিরতেই হচকিয়ে যায়। আর্য ও তার পরিবারকে দেখে। পাশে হাসি মুখে বসে আছে মিরা আর ভ্রমণ। ভ্রমণ কুহেলিকে দেখে চুপসে যায়। মিরা কুহেলির দিকে তাকিয়ে হেসে বললো,এইতো আমি এসে গেছে।
কুহেলিকা আমি জানি আপনি আমাকে কি বলতে আপনার ঘরে নিয়ে এসেছেন। কুহেলিকা..মিরা ভ্রমণ যেমন আপনার ভাই-বোন আমারো ভাই-বোন। ওদের দায়িত্ব আপনার সাথে আমিও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিতে চায়। দেখুন মা-বাবা কিছুদিন পরই চলে যাবে দেশের বাইরে। আপনি বিয়ের পরও এইখানেই থাকবেন আপনার ভাই-বোনদের সাথে। আপনি না হয় একটু জায়গা আপনার মনে আমাকে দিয়েন।
” নিশমির লাশ পেয়েছে পুলিশ। মৃত অবস্থায়। সাথে পেয়েছে ৩ টা ছেলের লাশ। ছেলেগুলো লাশের পাশে বরাবরের মতো এইবারো পাওয়া গেছে কনডম আর চিরকুট। যাতে লিখা “দামিনী”।
মিরা আর ভ্রমণ অনেক খুশি হয়েছে যে কুহেলি এই বিয়ের জন্য রাজি। তাদের বোনের মন যে হ্যা বলেছে এইটাই তাদের কাছে অনেক।
” কুহেলিকা” আজকে আমি অনেক হ্যাপি জানেন? এতো সৌভাগ্য আল্লাহ আমার কপালে লিখে দিয়েছিলো! ফোনের ওপাশ থেকে আর্য’র এমন কথা শুনে আনমনেই ফোনের এই পাশে হেসে উঠে মায়াবী দুধে আলতা রঙের মেয়েটি। কুহেলি বললো,”এতো হ্যাপি!
আর্য বললো,”আপনি আমার হতে যাচ্ছেন আর কি লাগে কুহেলিকা..!
স্যার এই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে ধর্ষণ হয়ে।
ইন্সপেক্টর আদিঃ তাহলে কি এই ৩ জনই মেয়েটাকে রেপ করেছে ডক্টর?
ডক্টরঃ খুব সম্ভবত এইটাই। কারণ আমি মেয়েটির সাড়া দেহে এই তিনটা ছেলের হাতের চিন্হ পেয়েছি। আর যেহেতু লাশের পাশে ওই প্রটেকশন এন্ড চিরকুট পাওয়া গেছে সেক্ষেত্রে এইটাই সঠিক।
আরোপ.. তোর গার্লফ্রেন্ড নিশমিকে কে ৩ জন ছেলে ধর্ষন করেছে” কথাটা শুনে আরোপের মুখ থেকে পানি কাশতে কাশতে পড়ে গেলো। ভার্সিটির ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে দাঁড়িয়ে পানির বোতল নিয়ে পানি খাচ্ছিলো আরোপ। তখনি হৃদয় এসে কথাটা বললো। আরোপ ভীত চাহনি নিয়ে বললো, কিইই! আরোপের বন্ধু হৃদয় বললো,”হুম শুধু তাই নয় ওই রাতেই যে তিনজন নিশমিকে ধর্ষণ করে সেই তিনজনকে মেরে ফেলে “দামিনী” নামক খুনিটা।
আরোপ ভীত চাহনি নিয়ে বললো, “কি বলিস! তিনজনও মারা গেছে? আরোপের কথা শুনে হৃদয় ভাববেশীল হয়ে বললো ” এই দামিনীকে পেলে আমি জড়িয়ে ধরতাম। হৃদয়ের কথায় আরোপ অবাক চাহনি নিয়ে বললো,”মানে?
হৃদয় হেসে বললো,”দামিনী” শুধু অপরাধীদের খুন করে। যারা পরকীয়ায় লিপ্ত। আরোপ তাড়াহুড়ো করে ঘাবড়িয়ে বললো, দোস্ত আমার একটু কাজ আছে আমি গেলাম..এইটা বলে এক সেকেন্ডও দাঁড়ায়নি আরোপ চলে গেছে ভার্সিটি থেকে।
ফোনটা কিন্চৎ কেঁপে উঠতেই তাড়াহুড়ো করে কলটা ধরলো অফিসার আদি।
আদিঃ হুম ডক্টর বলুন।
ডক্টরঃ অফিসার অনেক বড় একটা কথা আপনাকে জানাতে মিস করে গেছি।
আদিঃ একটু উৎসুকভাবে বললো,কি কথা ডক্টর?
ডক্টরঃ নিশমি প্রেগন্যান্ট ছিলো অফিসার।
স্যার মেয়েটি প্রেগন্যান্ট! হাউ?
ইন্সপেক্টর আদি এক মনে টেবিলে তাকিয়ে বললো,”এমনটাইতো হয়েছে। তবে এর আগে এর পরিবারকে ডাকো। ওরাই পারবে আমাদেরকে সাহায্য করতে এই কেইসে।
মিরা..ভ্রমণ তোরা চল জলদি। লেইট হয়ে গেছে ভীষণ। হাতের ঘড়ি দেখতে দেখতে সমানে হাক ছেড়ে যাচ্ছে কুহেলি। কিন্তু মিরা ভ্রমণের পাত্তায় নেই। মিরা এসে বললো,”আপু চলো চলো টাইম কম। কুহেলি রাগী লুক নিয়ে বললো,”ভ্রমণ কোথায় মিরা? মিরা নাকটা বেংচি কেটে বললো,”আসছে। বুঝোনা? আজ রেজাল্ট দিবে কিনা! তাইতো তার হাজার বাহানা।
দেখুন আমরা জানি আপনাদের মনের অবস্থা তেমন ভালো নেই। কিন্তু প্লিজ বলুন..নিশমির কি কারো সাথে এফ আই আর ছিলো? অফিসার আদির কথা শুনে নিশমির মা-বাবা দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে বললো,”না অফিসার আমরা এই বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে নিশমির বন্ধু ইশরাকে বলতে পারেন। অফিসার আদি ভ্রু কুচকে বললো,”ইশরা কে? নিশমির বাবা বললো,”নিশমির সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
ইশরা…নিশমির কি কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিলো?
“না স্যার”
দেখো মিথ্যে বলোনা..এইটা আরেকটা জীবনের ব্যাপার। আমি সিউর, যে নিশমির সাথে এতো করুণভাব করেছে, তাকেও খুনি এইভাবে ছেড়ে দিবেনা। অফিসার আদির কথায় ইশরা একটু ঘাবড়ে বললো,”হুম স্যার নিশমির বয়ফ্রেন্ড আছে। নাম আরোপ। ঠিকানাটা দিতে পারবে?
‘হুম স্যার।
গোবিন্দ চলো পুলিশ অল টিম নিয়ে। আমার বিশ্বাস খুনি আরোপকেও খুন করতে আসবে। কারণ আর কেউ নয় আরোপই নিশমির সাথে পিজিক্যাল রিলেশনে জড়িয়েছে।
আরোপের বাড়ির সামনে এতো ভীড় দেখে আদির বুঝতে বাকি নেই যে কি হয়ে গেছে। অফিসার আদি ভেতরে ঢুকে “আরোপের লাশটা ভালোভাবে দেখলো। ” কি নিমর্মভাবে খুন করে এই “দামিনী”। অফিসার আদি চিরকুটটা হাতে নিয়ে চমকিত। বরাবরের চেয়ে একটু আলাদা এই চিরকুট। তাতে লিখা,,
“অফিসার আদিত্য আরজি আদি আপনার সেন্স আছে বলতে হয়..নয়তো কি আর অনুমান করতে পারতেন যে আমি আরোপকে মারতে আসবো? আই লাইক দিস…
এক কাপ গরম কফি নিয়ে ল্যাপটপের সামনে বসলো ইনস্পেকটর আদি। কফি থেকে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। ল্যাপটপে তাকিয়ে বার বার সে “দামিনী” নামক খুনির রহস্য উদ্ঘাটন করতে চেষ্টা করছে। হঠাৎ চোখ আটকে যায় একটা নামের উপর। “দিয়াশিনী” নামক একজন খুনি ২০ টা খুন করেছে। কিন্তু খুব অদ্ভুত “দিয়াশিনী” যেইভাবে খুন করতো। ঠিক সেই সেই স্টেপেই “দামিনী” নামক খুনি খুন করছে। শুধু খুনের কারণটা আলাদা। আদি আর কিছু না ভেবে..একজন কনস্টেবলকে কল করে বললো “দিয়াশীনি” নামক খুনিটা কোথায় আছে এখন সেই ইনফরমেশন নিতে।
কুহেলিকা..আজ অনেকদিন পর আপনার মুখে স্নিগ্ধ হাসিটা দেখছি। জানেন? খুব ভালো লাগছে।
আর্য’র কথায় কুহেলি কিছুটা চুপ হয়ে বললো, আসলে আর্য এই গাম্ভীর্যের কারণটা বলতে গেলে..মিরা আর ভ্রমণ। ওদেরকে গড়ে তুলতেই আমার এই গাম্ভীর্যতা।
“তার মানে আমার কুহেলিকা আসলেই বেশ হাসি-খুশি একটা মেয়ে! আর্য’র মুখে আমার কুহেলিকা কথাটি শুনে শিওরে উঠে কুহেলি। কথাটায় এক অন্যরকম মাধুর্য আছে। কুহেলি গলাটা কিছুটা হাক ছেড়ে বললো, না তা একদমি নয়। তবে এইটাও সত্যি.. আমি গাম্ভীর্যই থাকি অধিক সময়।
” একটা কথা বলবো কুহেলিকা?
,হুম বলুম।
“সত্যি বলতে..আপনাকে গম্ভীরই বড্ড বেশি সুন্দর লাগে। এই গাম্ভীর্যতা আপনার সৌন্দর্যকে আরো বেশিগুন আকর্ষিত করে তুলে। কথাটা শুনে কিন্চৎ হাসে কুহেলি।
“কিরে বাবা মন খারাপ? আদির মা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে কথাটা বললো। আদি মায়ের কোলে মাথা রেখে বললো, মা..দেশে এতো এতো খুন হচ্ছে। অথচ দেখো আমি কিছুই করতে পারছিনা। আদির মা ছেলেকে আদর পরশে বললো, ” বাবা জানিস? তোর বাবা পৃথিবীতে থাকতে সবসমসয় একটা কথা বলতেন। আর তা হলো,”তুমি ততক্ষনি চেষ্টা করে যাও, যতক্ষণ না অব্ধি তুমি তোমার লক্ষে পৌঁছাতে পারছো। আদি কথাটা শুনে বললো,”মা বাবাকে ভীষণ মনে পড়ে তোমার তাইনা? আদির মা কথাটা শুনেই হেসে ফেলে।
মিসেস কুহেলি..আপনি এতো রাগী কেনো বলুনতো? অবশ্য মেয়েদেরকে রাগলে বেশ সুন্দর লাগে..ইন্সপেক্টর আদি কথাটা কিছুটা বাকা হেসেই বলে। তার কন্ঠে যে রম্য তা স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে। ইন্সপেক্টর আদির কথা শুনে কুহেলি রাগ কমিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হলো। কুহেলি মিরা আর ভ্রমণ একসাথে বসে টিভি দেখছিলো। এমন সময় কলিংবেল বাজতেই কুহেলি দরজা খুলতে যায়। আর দরজা খুলেই দেখে ইন্সপেক্টর আদি।
“অফিসার আপনি এইখানে? ইন্সপেক্টর আদি এক ধ্যানে কুহেলির দিকে তাকিয়ে বললো, ” বাইরের দাঁড় করিয়ে রাখবেন? কুহেলি অস্বস্তি করতে করতে ভদ্রতার ক্ষাতিরে বললো, ভেরতে আসু।
এরা কি আপনার ভাই- বোন নাকি? সোফায় বসতে বসতে মিরা আর ভ্রমণের দিকে কুহেলিকে প্রশ্ন করলো আদি। কুহেলি ছোট করে উত্তর দিলো “হুম”।
হাই কিউট বয় এন্ড গার্ল।
মিরা ভ্রমণ একসাথে হেসে বললো হাই স্যার। আদি বললো,” আমাকে স্যার নয় ভাইয়া বলবে কেমন? আমিতো তোমাদের ভাইয়ার মতোই। আর এমনিতেও আমার কোনো ভাই-বোন নেই। মিরা আর ভ্রমণের চোখ দুটো জেনো ঝলে উঠলো। তারা যেনো না চাইতেই এমন একটা মানুষকে পেয়ে গেছে। মিরা সোফা থেকে উঠে বললো, “ভাইয়া আপনি বসুন আমি চা নিয়ে আসছি। আদি বিনিময়ে হাসে।
কুহেলির দিকে তাকিয়ে দেখলো কুহেলি বেশ কালো মুখ করে বসে আছে। আদি বললো,মিস কুহেলি বোধহয় আমার আসাটা পছন্দ করেননি তাইনা? কুহেলি শক্ত কন্ঠে বললো,তা নয়। ইন্সপেক্টর আদি ভ্রমণকে বললো,” ভ্রমণ যাও পড়তে বসো। ভ্রমণ বুঝতে পেরে চলে গেলো।
“মিস কুহেলি আপনি আইরিক কে চিনেন? নামটা শুনতেই চমকে উঠে কুহেলি। এইবার ইন্সপেক্টর আদির চোখে চোখ রাখলো সে। আদি আবার বললো,” কি হলো বলুন চিনেন?
কুহেলি আমতা আমতা করে বললো,না। ইন্সপেক্টর আদি ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসে বললো,”আমি জানি আপনি “দিয়াশিনী” ওরফে আইরিককে চিনেন। এইবার কুহেলি ইন্সপেক্টর আদির চোখে চোখ রেখে শান্ত কন্ঠে বললো,”হুম আমি চিনি। তবে কখনো তেমনভাবে তার সাথে কথা হয়নি। আইরিক বর্তমানে জেলে আছে। আইরিক আমাকে ভালবাসতো। আইরিক আমি না বলাতে আমার ফ্যামিলিকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। এরকিছুদিন পরই শুলনাম খুনের দ্বায়ে আইরিককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আশা করি আপনার উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন অফিসার। প্লিজ এখন আসুন। আদি সোফা থেকে উঠে বললো, “ধন্যবাদ ইনফরমেশন গুলো দেওয়ার জন্য। আরেকটা কথা..আপনার ভাই-বোন গুলো কতো কিউট হাসি-খুশি আপনি এমন কেনো? এইটা বলেই আদি স্থান ত্যাগ করে। আর এইদিকে কুহেলি হা করে আদির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,এই লোকটা তার মানে তাকে রাগী বদমেজাজি বলে গেলো!
আজ কুহেলির বিয়ে আর্য’র সাথে। মিরা ভ্রমণ আনন্দে মেতে আছে। হঠাৎ মিরা খবর পেলো ইন্সপেক্টর আদিকে কেউ খুন করেছে। মিরা অবিশ্বাস্ব চেহারা নিয়ে কথাটা কুহেলিকে বলতেই কুহেলি অবাক হয়ে বললো কি! মিরা চোখে পানি নিয়ে বললো,হুম আপু সত্যি।
মিরার কান্না আসছে এইজন্য যে খুব অল্প সময়েই আদি ওদের সাথে বেশ মিলে গেছিলো। কুহেলি এইসব নিয়ে ভাবতে গেলেও আর ভাবলোনা। আর এইদিকে মিরা শুধু ভাবছে কে? আদিকে মারলো? শুধু শুধু কেনো তার নিষ্পাপ দেহটাকে কষ্ট দিলো। কেনো? কেনো? কেনোওওওও?
বিয়ের কিছুদিন পর….
আর্য’ রাত একটাই ঘুম থেকে উঠতেই দেখে কুহেলি নেই। ভয় পেয়ে গেলো সে। তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পড়ে ডাক ছাড়তে লাগলো..কুহেলি..কোথায় তুৃমি? হঠাৎ দেখলো কুহেলি ওয়াশরুম থেকে ভেজা চুলে বের হয়ে আসছে। সদ্য গোসল সেরেছে হয়তো। আর্য অবাক হয়ে বললো,” এতো রাতে তুমি গোসল দিয়েছো? কুহেলি গামছা দিয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বললো,হুম। গরম করছিলো খুব তাই।
চলবে.. …