আর মাত্র চার মাস পরেই ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা আরম্ভ হতে যাচ্ছে। সারাবছর পড়াশোনার সাথে দেখাসাক্ষাৎ না থাকলেও এই সময়ে ব্যাচের সবার মধ্যেই একটা ব্যস্ততামূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যস্ততা নেই শুধু আমাদের অভ্রের মাঝে। অনেকে এই নিয়ে রীতিমতো কানাঘুষা শুরু করে দিয়েছে। ক্লাসের ফার্স্ট বয় অলিতে-গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাপারটা অনেকে হজম করতে পারছেনা। এইতো গতকাল ম্যাসেন্জার গ্রুপে অভ্রকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ম্যাসেজের টুংটাং শব্দে আমি গ্রুপে না গিয়েও থাকতে পারলামনা। ওদের গবেষণার এক পর্যায়ে কাংখিত মানুষটির আগমন ঘটলো। অভ্র গ্রুপে ঢুকা মাত্রই একে একে সকলেই সালাম দেওয়া শুরু করে দিল ওকে। যেনো অভ্র নয়, আগমন ঘটেছে কোনো বিখ্যাত মনীষী’র । প্রথমেই সম্মানের সহিত জাহিদ লিখলো-
-” অভ্র ভাই, ভাই আপনার পা টা যদি একটু দিতেন। আপনার পা ধোঁয়া পানি খাওয়া এই মুহূর্তে কম্পোলজরি হয়ে গেছে। না মানে সারাবছর টো টো কইরা ঘুইরা বেড়ান তাও একাডেমিক লাইফে আপনার এতো সফলতা! আপনার সফলতার সিক্রেট টা যদি এই অধমের সাথে শেয়ার করতেন,খুব উপক্রিত হতাম ভাই”
অভ্রও কম না। কেমন স্বাভাবিক কন্ঠেই ভয়েজ রেকর্ড দিলো-
-” শোন তোরা আগামীকাল দশটার দিকে দেখা কর আমার সাথে। দশ মিনিটের বেশি টাইম দিতে পারবোনা বুঝলি? একবার পা ধুবো সে-ই পানি একটা টাঙ্কি তে এড করবি,তারপর যতো জনকে পারিস ডোনেট করে দিবি। আমার মনে কোনো হিংসে নেই বুঝলি? আমার সামান্য পা ধোঁয়া পানি’র দ্বারা যদি তোরা উপক্রিত হোস,সেটা গুরু হিসেবে আমার জন্য ভীষণ গর্বের! “
জাহিদ লিখলো-
-“কিন্তু ভাই আমি তো একাই আপনার সিক্রেট টোট ভোগ করতে চাই। স্যরি এই মহা মূল্যবান পানীয় আমি শেয়ার করতে পারবোনা কারোর সাথে। এক টাঙ্কি বলেন আর যাই বলেন এই পানীয় সংরক্ষণ করে আমি আমার আগামী চৌদ্দ পুরুষের সফলতা নিশ্চিত করতে চাই “
এই মেসেজের রিপ্লাইয়ে সিফাত লিখলো-
-“দোস্ত তোর আসলে শুধু পা ধোঁয়া পানিতে পোষাবেনা রে। ধোঁয়া পানিতে সাদিয়ার স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট এড করতে পারিস।”
এই মেসেজে সাদিয়ার এংগ্রি রিয়েক্ট দেখা গেলো। বাকিরা মনে মনে হাহা রিয়েক্ট দিলেও সেটা বাস্তবে প্রকাশ করলো না।
-সিফাত তুমি কি আমাকে কোনোভাবে অপমান করছো? না মানে একদিন জাহিদকে দিয়ে অনলাইনের প্রোডাক্ট গুলো আনিয়েছি বলে তুমি কি ভাবছো সবসময় জাহিদই আমাকে এগুলো কিনে দেয়? শুনো আমার পাপার টাকা পয়সার কোনো অভাব নাই যে বয়ফ্রেন্ড কে দিয়ে সবসময় সব কেনাবো!
জাহিদ লিখলো-
-“বাবু ও আসলে এটা মিন করেনাই,তুমি রাগ কইরোনা প্লিজ!
জাহিদের এই মেসেজে এবার গণহারে সকলে ওকে পচানোর একটা সুযোগ পেয়ে গেলো। সকলের জবাব পাল্টা জবাবে রীতিমতো গ্রুপে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেলো। বিরক্ত হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম আমি।
পরদিন বিকালে আমি আর মেঘা মানিক মামার ফুচকার স্টলে বসে ফুচকা খাচ্ছি। খাওয়া শেষ করে পুনরায় বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হতেই গলির দোকানে অভ্রকে চোখে পরলো। অভ্র পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে,সাথে ফারদিন। আমি বারণ করার সত্যেও মেঘা ঢেঙঢেঙিয়ে ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে অভ্রে ডেকে উঠলো-
– দোস্তওওওওও,কেমন আছিস?
মেঘার ডাকে অভ্র আঁতকে উঠলো। হতচকিত হওয়ার ন্যায় পিছন ফিরে তাকালো। আরো হতভম্ব হলো সাথে আমাকে দেখতে পেয়ে। ফারদিনের অবস্থা তখন রীতিমতো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি টাইপ। আমি তখনো বিষয়টা ধরতে পারিনি ঠিক মতো।আমাদের দেখামাত্রই অভ্র ধোঁয়া উঠা সিগারেট টা হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো। ব্যাপারটা নজরে আসা মাত্রই আমার চোখ কপালে উঠে আসার উপক্রম। আমি কঠিন গলায় জিজ্ঞেস করলাম-
-তুই সিগারেট খাস,অভ্র?
অভ্র কোনো জবাব দিলো না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে অবাক হওয়ার ভান করে বললো-
– বলিস কি?আমি আর সিগারেট? হাহ্,ইম্পসিবল! সিগারেট দেখলেই তো আমি একশো হাত দূরে থাকি। সিগারেট কি কোনো মানুষ খায় রে ফারদিন??(ফারদিনের দিকে চেয়ে) এসব তো গরু,ছাগল রা খায়। আমার মতোন জেন্টালম্যান কে নিয়ে এই ধারনা কিভাবে পুষে রাখিস তুই? আমার তো ভাবতেই কেমন কষ্ট হচ্ছে রে!(দীর্ঘশ্বাস ফেলার ন্যায়)
ওর নাটকে আমার রাগ দ্বিগুণ+দ্বিগুণ=চারগুণ হওয়ার উপক্রম।অভ্রের কথায় মেঘা ভীত চোখে একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার অভ্রের দিকে। ওর সিক্স সেন্স হয়তো এই মুহূর্তে হতে যাওয়া ঘূর্নিঝড়ের সংকেত জানিয়ে দিয়েছে ইতোমধ্যে।
আমি ধমকের স্বরে বললাম-
-হাত দেখা তোর।
অভ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ অসহায় মুখ করে বলতে লাগলো-
-এইবারের মতোন মাফ কইরা দে প্লিজ। আমি সত্যি খাইনা এসব, বিশ্বাস কর। দুই,একবার ট্রাই করছিলাম। কিন্তু আজকে থেইকা শেষ।আর জীবনেও ধরুম না,কসম।
আমি কিছুই বললাম না। চুপচাপ হাটতে লাগলাম অভ্রের সিগারেট খাওয়া না খাওয়াতে আমার কিছুই যায়, আসার কথা না। তবুও কেনো আমার এতো রাগ হচ্ছে ওর উপর আমি বুঝতে পারলামনা।
পেছন থেকে অভ্রের কন্ঠ এখনো হাল্কা শুনতে পেলাম-
-ফারদিন রেএএএ আমি শেষ! তোর ভাবী আমারে মাইরাই ফেলবো আজকে!
রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বারান্দায় এসে এক কাপ চা নিয়ে বসলাম আমি। অভ্র বিকালের পর থেকে অজস্রবার ফোন করেছে,কিন্তু আমি একটা ফোনও ধরিনি। এখনো দিচ্ছে। বিরক্ত হয়ে ফোন অফ করে রাখলাম শেষমেষ। পূনরায় রুমে ফিরে যেতে উঠতেই অভ্রকে চোখে পরলো।গেইটের বাইরে কারেন্টর খাম্বাটার সাথে কেমন দুঃখী দুঃখী মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে অভ্র। হাতে বড় একটা কাগজ যাতে বেশ মোটা অক্ষরে লেখা “SORRY MITU” । এটা দেখেও আমার মন গললো না।তখনো মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি। কিছুক্ষণ পর হাতের কাগজটা ফেলে দুই হাত দিয়ে কান ধরলো অভ্র। ফিসফিস করে ঠোঁট নাড়িয়ে বারবার আমাকে বুঝালো আমি ক্ষমা না করলে ও সারারাত কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমিও কম নই,দাঁড় করিয়ে রাখলাম কান ধরিয়ে প্রায় বিশ মিনিট। মশার কামরে বেচারার নাজেহাল অবস্থা প্রায়। তিরিশ মিনিট পর আমার রাগ পাহার থেকে অবতলে নামলো। ফোন করলাম ওকে-
-আর কখোনো দেখবো এসব?
অভ্র অসহায় মুখ করে বললো-
-জীবনেও না বিশ্বাস কর,এটাই শেষ। তুই যা বলবি তা-ই শুনবো। তুই বললে তা-ই না বললে নাই।
এই মুহূর্তে আমার পুরোপুরি না কমলেও আশি ভাগই কমতে শুরু করেছে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে।
তারপর মৃদু হেঁসে বললাম-
-বাসায় যা,অনেক পাগলামি হয়েছে।
-উহু যাবোনা!
-যাবিনা মানে? কেউ দেখলে উল্টা পাল্টা মনে করবে অভ্র, বাসায় যা।
-নিচে আয় একবার, না-হয় সত্যি যাবোনা।
অভ্রের একবার কিছু করবে বলে মনে হলে ও সেটাই করে। ওর জেদ সম্পর্কে আমি বেশ ভালো ভাবেই অবগত। যেতে ব বলেছে মানে আমি না গেলে ও সত্যি সত্যি হয়তো সারা রাত বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। তা-ই এই পাগলের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য আমাকে নিচে নামতেই হলো।
চোরের মতোন নিঃশব্দে গেট খুলে বের হলাম আমি। আমাকে দেখামাত্রই অভ্রের মুখে তৃপ্তিময় হাসি ফুটে উঠলো। আমি আশেপাশে একপলক খেয়াল করে তারাহুরো করে বললাম-
– এইযে আসলাম। দেখেছিস? হয়েছে? এবার বাসায় যা।
অভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো-
-চুপ করে একটু দাঁড়া, এমন লাফালাফি করছিস কেনো?
দশ মিনিট ধরে অভ্র আমাকে স্টাচু বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। তারপর বেশ কিছুক্ষণ পলকহীন চোখে তাকিয়ে আমাকে দেখতে থাকলো।
-মিতু।
– হু শুনছি, যা বলার তারাতাড়ি বল।(আশেপাশে তাকিয়ে)
-রাতে কি এগুলো পরেই ঘুমাস?
অভ্রের কথায় আমি হতচকিত হয়ে পরলাম। তারপর নিজের পরনে নজর দিতেই দেখলাম রাতে ঘুমানোর জন্য গেঞ্জি আর প্লাজু পরেছিলাম সেটা চেঞ্জ না করেই তারাহুরো করে চলে এসেছি । এমনকি গায়ে ওড়না জড়াতেও ভুলে গেলাম আমি! সম্বিত ফিরে আসতেই কেমন লজ্জা, আর অস্বস্তি হচ্ছিলো আমার। অভ্রও বোধহয় সেটা বুঝতে পারলো। আমার অস্বস্তি আর না বাড়াতে ঠোঁটে রহস্যময় হাসি ঝুলিয়ে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বললো-
-বাসায় যা।
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে লাগলাম আমি। কিছুতেই ঘুম আসছেনা আমার। ফোনটা অন করতেই নোটিফিকেশনের টুংটাং আওয়াজ ফেইজবুক অন করলাম। ফেইজবুকে ঢুকতেই অভ্রের পাঁচ মিনিট আগের পোস্ট করা একটা স্টাটাস সামনে এলো। সেখানে বাংলা একটা গানের কিছু লাইন-
” ঘুম চলে যায় তোমার চোখে বেড়াতে
পারিনা তাকে কোনো ভাবে ফেরাতে
আমার এ মন, তোমার মনের পাড়ায়
বোকাসোকা হয়ে আড়ালে আবডালে দাঁড়ায়,
তোমাকে ছোঁয়ার নেই তো আমার সাধ্য,
দেখতে পাওয়া সে-ই তো বড় ভাগ্য,
মনটা অবাধ্য হচ্ছে প্রায়শ……….”
কমেন্টে সিফাত সেখানে লিখেছে-
-“সাধ্য তো আছেই বন্ধু,নেই শুধু বৈধতা। আগে পরে তো একজনকেই মন দিয়ে বসে আছো। বিয়েটা করেই ফেলো এবার”
মেঘা লিখলো –
– “বন্ধু শারুখ, কাজল জুটির বাস্তবিক পূর্নতা দেখার সৌভাগ্য করে দাও প্লিইইইজজ। সালমান,কিংবা রানী মুখার্জির এন্ট্রি আমরা চাই না।”
পুষ্পিতাও লিখলো-
-“আয়হায় অভ্র তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে? এতো কিউট ছেলেটাও শেষমেশ মিঙ্গেল হয়ে গেলো! খুবই দুঃখজনক!”
সিফাত সেখানে রিপ্লাই করে বললো-
– “এই বেটার উপর ক্রাশ খাইয়া লাভ নাই, পুষ্প। অভ্রের সকল আগ্রহ এক নারীতেই আটকাই আছে। তুমি চাইলে আমাকে লাইন মারতে পারো,বেশিক্ষণ লাগবে না পটাতে।”
এই রিপ্লাইয়ে সিফাতের গার্লফ্রেন্ড মৌনির এংগ্রি রিয়েক্ট দেখা গেলো।
ব্যাপারটাকে আরেকটু ঘোলাটে করার জন্য জাহিদ লিখলো-
-আস্তাগফিরুল্লাহ, সিফাত!!!! শেইম অন ইউ! মৌনি’র মতোন একটা লক্ষী মেয়ে থাকতেও তোর চরিত্রে কালো,ধূসর, বেগুনি এতো ধরনের দাগ? মৌনি দেখেই তোর সাথে সংসার…না মানে রিলেশনে আছে। অন্য মেয়েরা হইলে বিয়া ছাড়াই ডিভোর্স দিয়া দিতো।আমার তো খুব মায়া লাগতেছে বেচারী মৌনির লাইগগ্যা!
রুম্পা লিখলো-
-জাহিদ রেএএএ তুই তো কুটনী শাশুড়ীদের চেয়েও জঘন্য রে দোস্ত। শেষ শেষ! বেচারার সদ্য হওয়া প্রেমিকাটারেও আর কয়টা মাস থাকতে দিলিনা তুই। তোরে আসলে কুটনা অফ দ্যা ইয়ার ঘোষণা করা উচিৎ।কি আকাম টা-ই না করলি! সিফাতের নিব্বি এখন ফোন করে বলবে “বাবু আমি লাক করচি” তোর সাধ্য আছে এই রাগ ভাঙানোর? একমাত্র সিফাতই এই অসাধ্য সাধন করতে পারে।
সিফাত জাহিদকে মেনশন করে লিখলো-
-কালকে ছুটির পরে দেখা করিস তুই!! তোমার সাদিয়া,নাদিয়া, দের একটা মিটআপ আছে, আগাম সতর্কসংকেত দিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাংকস মি লেটার।
জাহিদ সেটার রিপ্লাই করে বললো-
-ঠিক আছে ভাইয়া। আমার স্কুল বারোটায় ছুটি হয়।আপনার টা জানলে দেখা করতে সুবিধা হবে।
আমি নির্বাক দর্শকের ন্যায় বিনা টিকিটেই সার্কাসের সকল মজা উপভোগ করে নিলাম!
রাত প্রায় তিনটা বাজতে চললো । আমার চোখে তখনো ঘুম নেই। দুঃখ নয়, সুখময়,সুখময় অনুভুতি থেকেই আমার ঘুম আসছেনা। অতিরিক্ত দুঃখে মানুষ যেমন নির্ঘুম রাত কাটায়,অতিরিক্ত সুখেও তা-ই হয়। আমার অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। এক শ্যামবর্ন পুরুষ আমার ঘুম হরন করেছে! আমার মনে হচ্ছে কোথায় যেনো একটা ছায়া রয়েছে, যে ছায়া আমায় প্রকাশ্যে,গোপনে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করছে। সে আমায় কেবল এবং কেবলই প্রশান্তিই দিয়ে যায়! বিনিময়ে গ্রহণ করে অবহেলা! একটা ভালো রাখার মানুষ, যার সকল কৌতুহল শুধু মিতুকে ঘিরেই! তাঁর পলকহীন তাকিয়ে থাকা! তার শ্যামবর্ন মুখ আমায় একদন্ডও ঠিক থাকতে দিচ্ছেনা! আমি চোখ বন্ধ করলাম,সাথে সাথে এক ফোটা পানি চোখ থেকে গড়িয়ে পরলো আমার! এই অশ্রুতেও কেমন তৃপ্তি খুঁজে পেলাম আমি! অভ্রময় তৃপ্তি!
চলবে… …