ঋতুরঙ্গমঞ্চে রুদ্র ভয়াল গ্রীষ্মের তিরোভাবের পর শ্যামগম্ভীর বর্ষার আবির্ভাব। ঋতুপর্যায়ের দ্বিতীয় ঋতু বর্ষা। পরিমিত বৃষ্টি হলে বর্ষার শ্যামাসুন্দরী রুপই প্রকৃতির রুষ্টতা পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম। গ্রীষ্মের প্রকট নিষ্ঠুরতায় যেসব গাছগুলো নেতিয়ে পরেছিলো এবার যেনো তারা তাদের প্রান ফিরে পেতে শুরু করেছে। অরণ্যেরাও জেগে উঠতে শুরু করেছে পূনরায়। চারিদিকে সময় অসময়ে হুটহাট বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারনে প্রকৃতিতে নেমেছে স্যাঁতসেঁতে ভাব। এমন এক স্যাঁতসেঁতে সকালে কাক ভেজা হয়ে আমি উঠলাম অভ্রদের বাসায়। চোখে মুখে রাজ্যের ক্লান্তিভাব আমার। কলিংবেলের শব্দে বেশ অনেকক্ষণ পর দরজা খুলতেই সামনে আমাকে দেখামাত্রই আন্টি আঁতকে উঠে শুধালো-
-কিরে মা, কি হয়েছে তোর?
আমি কোনো কথা না বলে আন্টিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাত্তে শুরু করলাম। স্পষ্ট অনুভব করলাম আন্টির শরীরও কাপছে। আমাকে এমনরুপে আন্টি কখোনোই দেখেনি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আন্টিও আমাকে কোমল হাতে জড়িয়ে ধরলো। আমার মনের ক্লান্তিভাবটাকে শান্ত করার জন্য আন্টি পরম স্নেহে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
-অভ্র,এই অভ্র উঠ মিতু এসেছে।
উন্মুক্ত শরীরে উপুড় হয়ে কেমন নির্বিকার ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে আছে অভ্র। এক পাশ থেকে ওর মুখের অর্ধভাগ উন্মুক্ত হয়ে আছে। শ্যামবর্ন চেহারায় খোঁচা খোঁচা দাঁড়িগুলো যেনো ওর ঘুমন্ত চোখের সুযোগ লুফে নিয়ে ওর মুখের সাথে প্রেম প্রেম খেলছে। কী নিষ্পাপ দেখাচ্ছে এই মুহূর্তে ওর ঘুমন্ত মুখটা!
আন্টির ডাকে কিছুক্ষণ বিরক্তি নিয়ে এপাশ ওপাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পরলো।এবার হঠাৎ আমার নামটা শোনামাত্রই ঝরের গতিতে উঠে বসলো অভ্র। ঘুমুঘুমু চেহারায়ও কেমন স্পষ্টতা নিয়ে তাকিয়ে রইলো। কিছু বুঝতে না পেরে আন্টির দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকাতেই আন্টি মুখে চিন্তার ছাপ একে জবাব দিল-
-দেখতে আসবে ওকে আজকে। ওর বাবা বিয়ে ঠিক করেছে বোধহয়। তোকে আগেই বলেছিলাম বিয়েটা করে ফেল। কোনো কথা-ই শুনিসনি আমাদের। এখন কি করবি কর।
কথাটা শোনামাত্রই অভ্র অসহায় মুখ করে কৌতুহলি চোখে আমার দিকে তাকালো। তারপর আমার সামনে বসে ওর শক্তপোক্ত হাত দিয়ে আমার গালদুটো আলতো করে আকরে ধরে শুধালো-
-কি হয়েছে আমাকে বল।
আমি টলমলে চোখে জবাব দিলাম-
-আমি মরে যাবো অভ্র! তুই ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবোনা।
অভ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে এক হাত দিয়ে আমার বাম হাতটা শক্ত করে ধরলো। অন্য হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললো-
-ইশশ! কি অবস্থা করেছিস চেহারার? কারনে অকারনে বাচ্চাদের মতো ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে ফেলাটা তোর স্বভাব হয়ে গিয়েছে,মিতু।
আমি বিস্ময় নিয়ে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে শুধালাম-
-আমি অকারনে কাঁদছি?
-নিঃসন্দেহে।
ওর কথায় আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরলো। আমি কিছুক্ষণ অবিশ্বাসের নজরে ওর দিকে তাকাতেই অভ্র পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক কন্ঠে বললো-
-বাসায় যা। তোকে কেউ দেখতে আসছে না।
আমি ছলছল চোখে শুধালাম –
-তোর কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা?
অভ্র জবাব দিল না। বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই পূনরায় শুয়ে
পরলো।
ওর কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত উত্তর না পেয়ে কিছুক্ষণ আন্টির মুখের দিকে মলিন চোখে চেয়ে রইলাম। আন্টিকেও কেমন নির্বাক আর অসহায় দেখালো। আমি আর এক মুহুর্তও থাকলামনা ওর বাসায়।
সবকিছু কেমন এলোমেলো আর অবিশ্বাস্য লাগছে আমার। আমি অভ্রকে বোধহয় চিন্তে পারছিনা এই মুহূর্তে। এটা কি সে-ই মানুষটা? যে বলেছিল “সৃষ্টিকর্তা ব্যতিত কারো সাধ্য নেই তোকে আমার থেকে কেড়ে নেওয়ার”?
আমার সবকিছু কেমন অন্ধকার লাগছে। এই পরিচিত পথও কেমন অপরিচিত বলে মনে হতে লাগলো।ওর এমন খাপছাড়া কথাবার্তায় আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হলো। বুকের উপর মস্ত বড় দানবীয় পাথরটা যেনো মুহুর্তেই ক্ষতবিক্ষত করে দিতে চাইলো আমার হৃদয়টাকে। নিজের শরীরটাকেও ঠিকমতো বহন করার সামর্থ্যটুকুও যেনো হারিয়ে ফেলেছি আমি। কোনোরকমে হাঁটতে হাঁটতে বাসার দরজা পর্যন্ত পৌঁছালাম আমি। আমার মাথা ঘুরছে। শরীর টলছে ঘূর্ণিঝড়ে আহত হওয়া গাছের মতো। কোনোরকমে কাঁপা কাঁপা হাতে কলিং বেল চাপতেই আম্মু দরজা খুলে আমাকে এভাবে দেখে আঁতকে উঠলো। আম্মু কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি ক্লান্ত শরীরের ভার ছেড়ে দিলাম। মুহুর্তেই লুটিয়ে পরলাম আম্মুর বুকে। স্বজ্ঞানে না থাকলেও আমি স্পষ্ট আম্মুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। শুনতে পেলাম আব্বুর আহাজারি। ভাইয়া আমায় কোলে নিয়ে দৌড়াতে লাগলো। ভাইয়াও কাঁদছে। এই প্রথম ভাইয়ার কান্নার শব্দ আমি শুনতে পেলাম। ভাইয়ার তপ্ত চোখের পানির এক ফোটা এসে পরলো আমার গালে। সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীর শীতল হয়ে উঠলো আমার। আমার শরীরে সবটুকু ক্লান্তিভাব গিয়ে ঠেকলো ভাইয়ার বুকে।
টানা দু দিন ধরে আমি হসপিটালে। এই দু দিনে অভ্র একটি বারের জন্যেও আমাকে দেখতে আসেনি। এমনকি আব্বু আম্মুও আমাকে সেদিনের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করেনি। শারীরিকভাবে কিঞ্চিৎ সুস্থতা পেলেও মানসিকভাবে আমি হয়তো আর কখনোই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবো না!
৩য় দিন আমাকে বাসায় আনা হলো। বাসায় এসেই আমি স্বাভাবিক কন্ঠে আম্মুকে শুধিয়েছিলাম-
-আম্মু, অভ্র আমাকে দেখতে আসেনি?
-আসেনি তো।
আম্মুর স্বাভাবিক স্বরে উত্তর।
রাত ১২ টা। পড়ার টেবিলের বুক থেকে চেয়ার টেনে আমি ডায়েরি টা মেলে লিখতে বসলাম।
“অভ্র,
চাইলেই তোকে ফোন কিংবা টেক্সট করতে পারতাম কিন্তু, আজ আর ইচ্ছে হলোনা। তোর মনে পরে? ক্লাস ফাইভে আমি একবার আমার বেডমিন্টন টা ভেঙে সে কী কান্না করেছিলাম। ঠোঁট উল্টে কাত্তে কাত্তে তোকে বলেছিলাম ” আমি আজ বাসায় যাবোনা অভ্র, এইটা ভাইয়ার বেডমিন্টন ছিল।ভাইয়া আমাকে মেরেই ফেলবে রে” উত্তরে তুই স্নিগ্ধ চোখে চেয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বলেছিলি “আমারটাও দেখতে একইরকম, তুই কাঁদিসনা মিতু,আমারটাই নিয়ে মেহমেদ ভাইয়াকে দিয়ে দে”। আমি সেদিন সত্যি সত্যি তোর বেডমিন্টন টা নিয়ে নিয়েছিলাম। সে বছর তুই আর নিজের বেডমিন্টন দিয়ে খেলতে পারিসনি।
একদিন অংক পরিক্ষা দিয়ে এসে ফেল করবো বলে পার্কে বসে বসে খুব কেঁদেছিলাম। আম্মু বকবে বলে বাসায়ও যাইনি। আমার কান্না দেখে সেদিন তুইও বাসায় যাসনি। পরদিন অন্য আরেকটা পরিক্ষা শেষে তুই এসে আমার পাশে বসে হাসতে হাসতে বলেছিলি ” মিতু আমি বোধহয় ইংরেজি তে ফেইল করবো রে” আমি হতচকিত স্বরে শুধিয়েছিলাম “মিথ্যে বলবিনা তুই সব পারিস অভ্র, তোর রোল নম্বর ১। তুই কি করে ফেইল করবি?”
তুই হাসতে হাসতে জবাব দিয়েছিলি “ইচ্ছে করে ফেইল করবো যাতে তোর আম্মু তোকে না বলতে পারে, অভ্র তো কোনো সাব্জেক্টেই ফেইল করেনি, তুই কেনো করলি”। এভাবে করে অসংখ্যবার তুই আমাকে আম্মুর বকুনি থেকে বাঁচিয়েছিস। তুই আমার হাত না ধরলে আমি কখনো রাস্তা পারাপার করতে পারতামনা। দাঁড়িয়ে থাকতাম টলমলে চোখে। তুই বিরক্তি নিয়ে আমার ছোট্ট ছোট্ট হাতটা মুঠো করে ধরে বলতি ” খুব জ্বালাস তুই আমায়”। সে-ই ছোট্টবেলা থেকেই আমি সত্যি তোকে খুব জ্বালিয়ে এসেছি, অভ্র! তুই কখনোই আমার উপর ক্লান্তিভাব দেখাসনি। জ্বরে উত্তপ্ত শরীর নিয়েও আমার যেকোনো প্রয়োজনে ছুটে চলে এসেছিস। আমি জিজ্ঞেস করলে বলতি “আই আম আ স্ট্রং বয়,ওসব জ্বর ফরে আমার কিছু হয়না”। তবে আমি স্ট্রং নই অভ্র! তুই বিহীন আমি বড্ড দূর্বল রে!
আমি জানিনা আমি এসব কেনো লিখছি। শুধু জানি যে মানুষটা সে-ই শৈশব থেকে আমার শক্তি হয়ে ছিল? বার্ধক্য পর্যন্তও আমার তাঁকেই চাই। তোকে ছাড়া আমি বাকিটা জীবন কল্পনাই করতে পারছিনা, অভ্র! একদমই পারছিনা!
ইতি,
তোর মিতু”
রাতের শেষভাগ।ছাঁদের রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি। চোখে মুখে শুধুই নিস্তব্ধতা আমার। টুপটাপ বৃষ্টি পরা শুরু হয়েছে। ভিজবার জন্য আমি আমার মুখটা আরো উন্মুক্ত করে আকাশের পানে মেলে ধরলাম। টিপটিপ করে এক দু ফোঁটা পরতে লাগলো আমার চোখে মুখে। সাথে সাথেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। কিছুক্ষন ছাঁদে থাকার পর কাকভেজা হয়ে বাসায় ঢুকলাম আমি। সকলেই তখন গভীর ঘুমে তলিয়ে। রুমে ঢুকে বারান্দার দরজাটা বন্ধ করতে যেতেই অভ্রকে চোখে পরলো। পুরুষালি দেহটি তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে আছে। তার সবটুকু মনোযোগ আমার বারান্দার দরজাতেই ছিল এতোক্ষণ। আমি তাকাতেই চোখ দু’টো বন্ধ করে জোড়ে তপ্ত নিশ্বাস ফেললো অভ্র।আব্বু আম্মুর রুম অন্ধকার দেখে জুতো জোড়া হাতে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে গেটের সামনে এসে পরলাম। মধ্যরাতে কেবল একজন পুরুষের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য অস্থির পায়ে ছুট লাগালাম। গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষটি। সোডিয়ামের স্বল্প আলোতেও ওকে চিনতে আমার এতোটুকুও বেগ পোহাতে হলোনা। আমি আকুল কন্ঠে বললাম
“কোথায় ছিলি তুই!
অভ্র উত্তর দিলোনা। দুই হাত বাড়িয়ে ইশারায় আমাকে কাছে ডাকলো। মুহুর্তের মধ্যেই আমি ঝাপ দিয়ে পরলাম অভ্রের চওড়া বক্ষপটে। ওকে দু’হাতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম আমি। একইভাবে আমাকে আকরে ধরলো অভ্র। তারপর আকাশের দিকে চেয়ে বড় করে শ্বাস নিল।কিছুক্ষণ এভাবেই আকরে ধরে নিজের নিকল উষ্ঠ নামিয়ে চুমু আঁকল আমার কপালে। সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখদুটো আপনাআপনি বন্ধ হয়ে গেলো। আমার কান্নার শব্দ আস্তে আস্তে কমে আসতেই অভ্র অসহায় চোখে বললো-
-তোর বাবা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে, মিতু।
আমি হতচকিত হয়ে শুধালাম-
-তুই সবকিছু বলেছিস আব্বুকে?
-হুম
-কি বলেছে?
-উনার ধারনা আমি তোর জন্য উপযুক্ত নই। তোকে আমি ভালো রাখতে পারবোনা। আমি তোকে সত্যি ভালো রাখতে পারবো না তাই না?
অভ্রের আকুল কন্ঠে প্রশ্ন। আমার শরীর অসার হয়ে আসছে ওর কথায়। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিনা। চিৎকার করে কাত্তে ইচ্ছে করছে আমার। কিছুক্ষণ চুপ থেকে শক্ত কন্ঠে শুধালাম-
-তোর বাসায় নিয়ে যেতে পারবি অভ্র? আমার এখানে থাকতে একটুও ইচ্ছে করছেনা।(শব্দ করে নিশ্বাস ফেলে)
হঠাৎ গেইট খোলার শব্দে দুজনেই ফিরে তাকালাম। আব্বু আর আম্মু একসাথে তাকিয়ে আছে। আব্বুর চোখে মুখে রাজ্যের নিষ্ঠুরতা দেখতে পেলাম আমি। আম্মু তখনো অসহায় মুখ করে চেয়ে আছে। আব্বুর পাঞ্জাবি ধরে কিছু বলতে নিতেই ঝারি মেরে আম্মুর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো-
-তোমার কারনেই এমনটা হয়েছে। আমি আগেই সাবধান করেছিলাম।
আব্বুর গরম চোখে তাকিয়ে কিছু একটা বলার আগেই শরীরের দূর্বলতায় চর হওয়া বক্ষে সাহস এনে আমি বললাম-
-ওকে কিছু বলবেনা আব্বু, আমি অভ্রকে ভালোবাসি। আর বিয়ে করলে আমি ওকেই করবো।
আমার কাটকাট জবাবে সকলেই বিস্মিত নয়নে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। সমানতালে অভ্রও বিস্মিত। আমি পূনরায় কিছু বলার আগেই আব্বু নিঃশব্দে আমার হাত ধরে টেনে হেচরে গেইটের ভীতর নিয়ে যেতে চাইলো। অভ্রের শক্তপোক্ত হাতে তখনো আমার হাত বন্দী। আমাকে ছাড়াতে না পেরে আব্বু কঠিন গলায় বললো-
-বেহায়াপনা করে আমার মান সম্মান আর ডুবানোর চেষ্টা করবেনা, মিতু!
আব্বুর কথায় অভ্রের হাতের বাধন আলগা হয়ে গেল।আঁতকে উঠে ওর চোখের দিকে তাকালাম আমি। হাতের বাধন আলগা হতেই এক ফোঁটা পানি অভ্রের চোখ বেয়ে গড়িয়ে পরলো। ওর পুরুষালি চোখে এই প্রথম আমি পানি দেখতে পেলাম। আমার দূর্বল মনটা শতগুণ দূর্বল হয়ে পরলো ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে। অভ্র তখনো অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার যাওয়ার পানে। মুহুর্তেই মনে হলো পৃথিবীর সকল সুঃখ আমায় যেনো আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরতে চাইছে! আমার স্বস্তি বোধহয় তাদের সহ্য হলোনা!
চলবে…….