মিষ্টি রোদ্দুর আর শীতল আবহাওয়ার সংমিশ্রণে প্রকৃতির এত মনোরম ভাবটাও যেন আশিনের বিরক্তিকর লাগলো আজ। এইযে গাছের পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখছে ঠান্ডা হাওয়ায় পাতাগুলো কেমন দুলছে এটাও যেন ভীষণ বেমানান ঠেকলো তার নিকট। মাথার কালো সেই পিঠ সমান ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো এলোমেলো উঁড়ছে বাতাসের ঝাপটায়। এমনিতেই মাথা ভর্তি রাগ ছিলো আশিনের, এখন সামনে যা পাবে আর দেখবে তাতেই যেন রাগ উঠে যাওয়ার উপক্রম তার।
সামনে থেকে কালো গাত্রের এক ছেলে এগিয়ে এলো তার দিকে। বয়স এখনও আশিনের থেকে কম হবে সেটা আশিন চেহারা দেখতেই বুঝতে পারলো। দেখা গেলো ছেলেটার পিছু পিছু আরও দুজন যুবক আর দুই যুবতীও এগিয়ে এলো। আশিনের ভ্রুদ্বয়ের মাঝে প্রগাঢ় ভাঁজ দেখা মিললো মুহুর্তের মাঝেই। এখানে একটি কাজে এসেছে সে। কাজটা তো আর এই সেই কাজ নয়। তাই প্রশান্তকে দোকানে পাঠিয়েছে ধারালো এক ছুড়ি কিনে আনার জন্য। তবে হাদারামটা যে কেন এত দেরি করছে এই নিয়ে আশিনের মেজাজ একেবারেই তুঙ্গে উঠে গেছে। এই ছেলে আসলেই এর একটা শাস্তি দিয়েই তবে শান্তি পাবে আশিন। আড়চোখে একপলক অচেনা সেই যুবক যুবতীদের দিকে তাকালো পরপরই নির্বিকার, নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে। আর সামনের একটি গাছের দিকে নিজেকে অবধিত করলো। যেন এখন পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কাজ এটি।
যুবক যুবতীরা এসে আশিনের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। তবে নতুন অচেনা কাউকে দেখে সবাই পলক ফেলে বারকয়েক তাকালো। তাদের মাঝের এক ছেলে ফিসফিস করে সামনের এক ছেলেকে বলে,“ এ কি আমাদের সংঘের নতুন কোনো সদস্য নাকি রে নিহাদ?’’
আশিন কথাগুলো স্পষ্ট শুনলো। সামনের সেই নিহাদ নামক ছেলেটি ভ্রু কুঁচকে সামনে তাকিয়ে আছে অচেনা সেই যুবতীর দিকে। নিহাদ ভাবুক হলো। আশিনের থেকে কিছুটা দূরেই তারা সবাই বসে পড়লো বটগাছটিকে ঘিরে ইট দিয়ে বানানো সেই গোলাকার বসার জায়গাটাতে। সারিকা আশিনের দিকে তাকিয়ে তার পাশের এক ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলো,“ এ আবার কে রে তুষার? তুই কি চিনিস?’’
বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকালো তুষার,“ যদি চিনতাম না এতক্ষণ কাছে গিয়ে হাই হ্যালো করতাম।’’
সারিকা হেসে উঠলো। আশিন কথা শুনতে না পেলেও এদের এমন তামাশার হাসি শুনতে পেলো। তাকে নিয়ে হাসছে নাকি? এদের গলা কেটে দিতে মন চাইলো। তবে নিজের মনোভাবকে সংযত করলো। এতো উত্তেজিত হলে চলবে না।
সারিকা মিলিকে বললো,“ আয় তো মিলি মেয়েটাকে গিয়ে একটু দেখে আসি।’’
মিলি পিঠ দিয়ে বসে ছিলো। সারিকার কথা শুনে এবার ঘাড় ঘুরিয়ে ফিরে তাকালো আশিনের দিকে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলো মেয়েটির আপাদমস্তক। বয়স হয়তোবা তার মতোই হবে। মিলি খুব একটা ইন্টারেস্ট দেখালো না অজ্ঞাত সেই মেয়েটির ব্যাপারে। তবে সারিকা কি আর মানে তা? মিলিকে টেনে নিয়ে গেলো মেয়েটির দিকে।
“ হ্যালো! কে তুমি? এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো? ’’
প্রশ্নগুলো যে আশিনকে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে আশিন বুঝলো সেটা। ঘাড় বেঁকিয়ে পাশে ফিরে তাকালো। সারিকা আর মিলি আরও কাছে এগিয়ে এলো। আশিন উত্তর দিতে না চাইলেও সৌজন্যতার খাতিরে উত্তর দিলো,“ আমি আশিন। এখানে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি।’’
সারিকা পুনরায় প্রশ্ন করলো,“ তুমি কি গ্রামে নতুন? কার কাছে এসেছো? কেন এসেছো? ’’
আশিন বেজায় বিরক্ত হলো। এই মেয়ে এত এত প্রশ্ন করছে কেন? কি চাই? মুখ ফুটে বলতে চাইলো,“ একজনকে মারতে এসেছি। সুযোগ পেলে তোকেও মারবো। ’’
তবে আর বললো না। বিষয়টা বাজে দেখাবে। এরা যে একেকটা উৎসর পোষা কুকুর হাবভাব দেখলে চোখ বন্ধ করেও বোঝা যাবে। এখন এসেছে এখানে নাটক করতে। আশিন মনে মনে ঠিক করলো যা করার খুব সাবধানে করতে হবে। এই উৎস যে কেন এখনও তাদের গ্রেফতার করছে না এটা কি আশিন জানে না? এত এত প্রমাণ উৎসর নিকট থেকেও ওপরমহলে কেন জমা দিচ্ছে না সেটা আশিন খুব ভালোভাবেই জানে। বাকি যারা আছে তাদের মারতে যে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এটা আশিন আগে বুঝতে না পারলেও এখন এই দলটাকে দেখে খুব ভালোভাবে বুঝলো। স্পেশালি এইযে এই ইন্সপেক্টর মিলি আর নিহাদকে দেখেই তার মস্তিষ্কে চাপ প্রয়োগ পড়তে শুরু করেছে।
ফোস করে একটা শ্বাস ফেললো আশিন। সারিকার প্রশ্নের জবাবে বিরক্তির সুরে উত্তর করলো,“ নতুন হই আর পুরাতন তাতে কি আসে যায়? আর যেই কাজেই আসি না কেন সেটা পার্সোনালই থাকুক।’’
মিলি তীর্যক হাসলো,“ গোপনীয় কাজের কথা কি কেউ কাউকে বলে?’’
আশিন বুঝলো মিলির কথার মানে। এদের উৎস খুব ভালোভাবেই ট্রেনিং দিয়েছে। আশিন মনে মনে বাঁকা হাসলো। আর মনে মনে বললো ‘ তুমি যাই করো উৎস। আমরা আমাদের মিশনে সাকসেসফুল হয়েই তারপর নিরুদ্দেশ হয়ে যাব। আমাদের এখন গ্রেফতার না করে তুমি বড় ভুল করছো। তখন আর সেই সময় থাকবে না।’
মিলির কথার প্রেক্ষিতে আশিন ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে বললো,“ সেটাই তো, এমন সব গুরুত্বপূর্ণ কথা কি আর বলা যায়? ’’
মিলি হাসলো। প্রশান্ত ঠিক সেসময় আসলো সেখানে। সবার দিকে একপলক তাকিয়ে আশিনকে বললো,“ ম্যাম চলুন। ’’
আশিন একবার নিহাদের দিকে তাকালো। নিহাদ তারই দিকে তাকিয়ে। শান্ত তার দৃষ্টি। অথচ আশিনের চক্ষু হাসলো। আশিন আর প্রশান্ত চলে গেলো কোথাও। নিহাদের পাশে বসা অর্নিল বললো,“ এ তো সাংঘাতিক।’’
নিহাদ শুধু আশিনের যাওয়া দেখলো। এই মেয়েকে চোখেচোখে রাখার আর আজ যাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে সেই মিশন যাতে সাকসেস না হয় সেজন্যই ইন্সপেক্টর নিহাদ আর মিলিকে পাঠিয়েছে উৎস। দেখা যাক মিশন ঠিক কতদূর যায়।
আশিন আর প্রশান্ত হেঁটে চলেছে বাজারের ভেতর দিয়ে। প্রশান্ত ভাবুক হয়ে আশিনকে জিজ্ঞাসা করলো,“ আচ্ছা, শিমু ম্যাম! এই ইন্সপেক্টর নিহার আর মিলি উনারা এখানে কি করছেন?’’
“ উৎস পাঠিয়েছে।’’
“ কিন্তু ম্যাম আপনি চাইলেই তো এই শহরের এমপির সাথে কথা বলেই ওদেরকে ছাটাই করতে পারেন।’’
“ সেটা আমি কখনোই করবো না। উৎসর যা ইচ্ছা করুক। যেদিন সত্যি জানতে পারবে ও না আবার হার্ট অ্যাটাক করে বসে।’’
বলেই হেসে উঠলো আশিন। প্রশান্ত আশিনের দিকে তাকিয়ে থাকলো। আশিনের প্রতিটা কথাতেই যেন রহস্য লুকিয়ে থাকে।
____________________________
বিশাল বড় বাড়ি। বাড়ির কারুকার্য একদম দেখার মতো। বিশাল বড় বসার ঘরে সিঙ্গেল সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে উৎস। তার সামনে টেবিলের ওপর হরেক রকমের খাবার, ফলমূল, স্ন্যাক্স আরও নানা কিছু। উৎস সেসবে চোখও দিচ্ছে না। অবশ্যই সে এখানে খাওয়ার জন্য আসে নি। সে এখানে এসেছে কারণ এমপি রাসেল সরকারই ডেকে পাঠিয়েছে উৎসকে। তখনই দুজন বডিগার্ড নিয়ে সেখানে আসলো কুমিল্লা শহরের এমপি রাসেল সরকার। উৎস চোখের চশমা ঠেলে একবার দেখলো তাদের। রাসেল সরকারের চোখে মুখে কেমন হিংস্রতা খেলে যাচ্ছে। উৎস সেসব খুব একটা পাত্তা দিলো না। রাসেল সরকার নিজের স্থানে গিয়ে বসলেন। গলা ঝেড়ে কেঁশে নিয়ে বলা আরম্ভ করলেন,“ আমি আবার সমস্ত কথা একদম সরাসরিই বলে ফেলি উকিল মশাই। তা বলছিলাম যে আমার শহরে এসে যেসব প্রমাণাদি জোগাড় করা শুরু করেছেন, এসব করে দরকার কি? আমাদের সাথে কাজ করুন একদম চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। শুধু শুধু কেন নিজের বিপদ ডেকে আনছেন? আর জানামতে আপনার বাবা চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। উনিও যে খুব একটা ভালো নন তা…’’
মুখের কথা কেড়ে নিলো উৎস,“ আপনি যদি এমন অপ্রয়োজনীয় কথা বলার জন্য আমায় ডেকে থাকেন তবে আ’ম এক্সট্রিমলি সরি মি. রাসেল সরকার। আমি আপনাকে সরাসরি রিজেক্ট করছি।’’
“ উকিল, আপনি কিন্তু একটু বেশিই করছেন!’’
উৎস এবার উঠে দাঁড়ালো। একহাত পকেটে গুজে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা টিভির সামনে গেলো। ঠোঁটের কোণে বাকা হাসি ঝুলিয়ে বললো,“ আপনি কি মাদক সেবন করেন?’’
হেসে উঠলেন রাসেল সরকার। হাত মাছি তাড়ানোর মতো করে বললেন,“ এসব কেমন মজা উকিল মশাই?’’
উৎস টিভির আরেকটু কাছে গেলো। দেয়ালে টাঙানো বিশাল এই টিভিটির চারপাশ কেমন যেন ব্রাউন কালার রঙ করা। উৎস টিভিটা ধরতেই রাসেল সরকার হতচকালেন। ধমকে বললেন,“ কি করছেন কি আপনি?’’
উৎস শুনলো না রাসেল সরকারের কথা। বরং টিভির ওপর আর নিচে ধরে একটা টান মেরে টিভিটা নিচে ফেলে দিতেই টিভির পেছনের অংশে ট্যাপ দিয়ে লাগিয়ে রাখা অসংখ্য সাদা যাদা প্যাকেট ছড়িয়ে পড়লো চারপাশে। বিস্মিত হলেন রাসেল সরকার। উৎস চুলে হাত বুলিয়ে হাটু ভেঙে ফ্লোরে বসে একটি প্যাকেটের থেকে কিছুটা গুড়া হাতে নিয়ে শুকে দেখলো উৎস। হেসে বললো,“ আপনি একজন এমপি, অথচ আপনার বাড়িতে এমন নতুন ‘ ফেনসিডিল ’ মালের অভাব নেই। এত কালো টাকা দিয়ে করেনটা কি?’’
হুট করেই ছবি তুলে নিলো উৎস। সাথে রাসেল সরকারকে সহ দেখা যায় এমন ছবিও তুলে নিলো উৎস। রাসেল সরকারের বডিগার্ড দুজন উৎসর দিকে এগিয়ে এলেই রাসেল সরকার থামিয়ে দিলেন তাদের। রাগে কটমট করে জিজ্ঞাসা করলেন,“ কি চাই আপনার?’’
উৎস সটান হয়ে দাঁড়ালো। মুখ গম্ভীর রেখে জবাব দিলো,“ আমি আমার মতো করে কাজ করতে চাই। আর আপনার এই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সৎ হতে পারবেন না জানি তবুও একটা চান্স দিতে সমস্যা নেই। আর বাঁধা দিতে আসবেন তো আপনার সব কুকর্ম ফাঁস করে দিতে আমার মাত্র দশ সেকেন্ড লাগবে। আপনি কি এটা চান?’’
“ আপনাকে আমি কোটি কোটি টাকা দেবো। কেইস বন্ধ করে দিন সাথে আমার পেছনে পড়া বন্ধ করুন। নয়তো মারা পড়বেন বলে দিলাম।’’
“ আমি এডভোকেট উৎস তালুকদার। শুধু এটাই মাথায় রাখবেন।’’
উৎস শিস বাজাতে বাজাতে বেরিয়ে গেলো। বাইরে এসে একবার বাড়ির চারপাশ দেখলো ভালোভাবে। ফুলের গাছগুলোতে সাদা সাদা যেন কিছু দেখা যায়। উৎস শুধু বাঁকা হাসলো। এই কেইসটা কেন বার বার বন্ধ হয়ে যায়? সাথে দেশে কালো বাজারে মাদক ব্যবসা এখনও কেন চলমান আর কোনো পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয় না এই বিষয়টা উৎস খুব ভালোভাবেই জানে। উৎস এর কেরামতি পরে দেখবে ভেবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো।
এদিকে রাগে ফুঁসছেন রাসেল সরকার। ফোন লাগালেন কারও নাম্বারে। দুবার কল করতেই ওপাশ হতে কল রিসিভড হলো। কর্কশ গলায় বললো,“ তোমাদের চক্করে পড়ে, পরে না আবার আমি ফেঁসে যায়। অলরেডি তো ফেসেই গিয়েছি। আর ফেঁসে যাওয়ার কথাই বা বলছি কেন? কি এমন বা*ল যে ওই উকিল উঠে পড়ে লেগেছে কেইস সলভ করার জন্য?’’
আশিন সব শুনলো। এই শালা কি হুঁশে আছে নাকি জ্ঞান হারিয়েছে? তাকে কল কেন করছে? ফোনটা হাতে নিয়ে একবার দেখতেই সব বুঝে গেলো। আশিন ভুল করেই তার চাচার ফোনটা নিয়ে এসেছে। আশিনের এই লোকের কথা শুনে রাগ হলো। ধমকে বললো,“ কোন বা*লরে তুই? সাহস কিভাবে হয় আমার সাথে এভাবে কথা বলার? তোর খুলি উঁড়িয়ে দেব শালা। ফোন রাখ।’’
বলেই কল কেটে দিলো আশিন। প্রশান্ত সব শুনলো। সেও বিষয়টা খেয়াল করে বললো,“ স্যার আপনাকে কিছু বলবেন না তো? ফোনটা তো উনার!’’
“ চাচা কি ফোনটা ইচ্ছে করেই বদলে দিয়েছে নাকি অন্যকিছু বুঝতে পারলাম না। কিন্তু এই রাসেল সরকারের কাছে উৎস কি করছে?’’
আশিন গাড়িতে বসে বসে ছক কষছে শুধু। উৎস বাপের জন্মে কি এই কেইস সলভ করতে পারবে? জীবনেও তো না। যেখানে কিনা দেশের বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিরাই আশিনদের সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসা, মাদক পাচার করছে সেখানে উৎস আর কিই বা করতে পারবে? তবুও ভাবার বিষয়। রাসেল সরকারকে নিশ্চয় কিছু করেছে। কথা রাগে বললেও কণ্ঠ ভয়মিশ্রিত। রাসেল সরকারকে যেহেতু দমিয়েছে তার মানে এই উৎসও কম না। এসব ভেবেও আশিন শুধুই হাসলো বেশিকিছু আর ভাবলো না।
ল্যাপটপটা বের করে একটা ফোল্ডারে যেতেই খেয়াল করলো তার ল্যাপটপে কিছু সমস্যা হচ্ছে। বুঝলো তার ল্যাপটপ কেউ হ্যাক করেছে। সাইভারে গিয়ে দেখলো যে সত্যি। আশিন বেজায় বিরক্ত হলো। উৎসকে তৎক্ষনাৎ কল লাগালো। উৎস কল রিসিভ করতেই গলার স্বর মোটা করে শুধালো,“ ল্যাপটপ হ্যাক করার মানে কি? আমাকে কি স্বাভাবিক নজরে দেখা যায় না?’’
উৎস পরিষ্কারভাবে বললো,“ তুমি কোনো ফরিয়াদি ব্যাক্তি নও যে তোমায় স্বাভাবিক নজরে দেখবো।’’
চলবে,…