নিষ্করুন :- ঈর্ষায়িত ওয়ারদুন
তুমি আমার ঈর্ষায়িত শুল্কা দ্বাদশীর জোৎসাস্নাত নিঝুম রাত্রি
তুমি আষাঢ়ে বাদলের মধ্যো উঁকি দেওয়া সুশ্রিত আলোর ঝলক, এক বিকট সুন্দর।
তুমি বিলের মধ্যো গা ভাসিয়ে সাঁতরে বেড়ানো সব চাইতে নির্মল কোমল পালক যুক্ত ধবলী রাজহংসী।
যেন তুমিই প্রাকৃতি আবার প্রাকৃতিই তুমি
পুরুষ নাকি নারীকে কামনা করে দেহ ছোঁয়ার বাহানা খোঁজে।
কথাটি নির্ভুল সত্য তবে আমার কাছে বেমানান অগ্রহনযোগ্য আর নিন্দিত
ভূবনমোহীনি ওয়ারদুন—-
আমি ও সবার মতো তোমাকে কামনা করি।তবে প্রভাতের এক কাপ চা’তে
দুপরে এর গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে
তাল পাখার বাসাতে কাঁচের চুড়ির শব্দে।
তোমাকে কামনা করি ঝিলের পাড়ে দূর্বা ঘাসের উপর বসে গোধূলির সূর্যা অস্তে এবং অস্তাপারের সন্ধ্যা তাঁরায়
আরো গ্রগঢ় তিব্র কামনা করি অতন্দ্রা নিষক কালো শূন্যতা মাখা রাতে। যখন লেখার মতো কিছুই পাই না,না পাই কথা বলার মতো তোমাকে।
ওয়ারদুন–
আমি কামুক কালপুরুষ কামনা করি তোমায় আমার কপাল ফাটা তিব্র জ্বরে।
একটু তোমায় কামনা করি যেমন কামনা করে খোঁজে ঝড়ের দাপটে আশ্রয়হীন টুনটুনি তার নিরাপদ নীড়
ঠীক তেমন সল্প কামনা করি,মুখ লুকাতে খুঁজি তোমার শীতল বক্ষদেশ ছায়া ঘেরা নীড়
যেন সর্বদা কামনা করে চলেছি তোমার ২১ গ্রাম এর বিশুদ্ধ আত্মাকে
প্রবর রিপন~ বলেছিলো কবিরা নারীকে কামনা করে তবে স্পর্শ পায় না।
কিন্তু আমি তো কবি নই তবে আমি কেন তোমার সরিষা পরিমান স্পর্শ থেকে বঞ্চিত।এত দূরে লক্ষ কোটি মাইল যেমন অবস্থান করে নক্ষত্র
ইতি-
তোমার তিব্র কামনাকারী