আল্লাহ যদি চাইতেন তবে কি তিনি পারতেন না, হুট করে আকাশ থেকে একজন ছেলে বা মেয়েকে ফেলে দিয়ে বলতেন দেখো এই হচ্ছে তোমার বাবা-মা। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি এমন একটি ব্যবস্থায় আবদ্ধ করে দিলেন যা একেবারে অসাধারণ।
নারী এবং পুরুষের শারীরিক মিলন থেকে শুরু হয় সন্তান জন্মদানের সূচনা। এরপর মা তার পেটে সন্তানকে টানা ৯ থেকে ১০ মাস গর্ভধারণ করেন। এই সময়ে মা’কে কত কষ্টই না ভোগ করতে হয়। খাবার বাছাই করে চলতে হয়। কারন তখন শুধু তিনি নিজের কথাই ভাবেন না তার গর্ভে সন্তানের কথাও ভাবতে হয়। সেই অনুযায়ী ওনার খাবার রুটিন করা হয়।
এরপর যখন সন্তান পৃথিবীতে আসে তখন আসা মাত্রই কিন্তু বড় হয়ে যায় না। তাকে প্রথমে মায়ের দুধ, তারপর আস্তে আস্তে তরল- নরম খাবার পরে ভাত আর অন্যান্য কিছু খাওয়ানো শিখাতে হয়। তার সেবা-যত্ন, পায়খানা পরিষ্কার, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার, অসুস্থ হলে ঠিকঠাক ভাবে চিকিৎসা করতে হয়। একটা সময় ধীরে ধীরে সে বড় হতে থাকে।
এই সমস্ত কিছুর মূলে হচ্ছে সন্তান যেন তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং মা তার সন্তানের প্রতি।