Life for a life…
Eye for an eye…
কাটুয়া চিলের পিছনে ৩ বছরের ধাওয়া করার গল্প….
সময়টা ২০২০ এর এপ্রিল। ছবি তোলা শুরু করেছি মাত্র কয়েকমাস হলো। তিস্তার চরে উত্তপ্ত বালিতে শুয়ে ক্রমাগত ক্যামেরার শাটার ফেলছি। একটা পাখি ঘোলাটে ভাব নিয়ে ফ্রেমে আসলো। ছবিটা ক্লিয়ার না। কোনোমতে বোঝা যাচ্ছে, সাদা রঙের কোনো একটা পাখি। তবে যে জিনিসটা দেখে প্রথমবারের মতো কোনো পাখির প্রেমে পড়লাম সেটা হলো তার চোখ। নাহহ, এই পাখির পিছু নেওয়া লাগে দেখছি…!! কিন্তু কি পিছু নেবো, নামটাই তো জানিনা। তারপর শুরু হয় ঘাটাঘাটি। দিনরাত এই পাখির স্বপ্নে মেতে থাকতাম। কবে এর একটা ভালো ছবি পাবো…!! সেই থেকে আজ অবধি এর কম ছবি তুলিনি। তবে আমার কেন জানি মনে হয় এই পাখি মানুষকে খুব ভালোভাবে বোঝে। মানুষের সাথে কেমন জানি একটা কানেকশন আছে এর…!!
আজ অবধি এনার কম ছবি তুলিনি। এক একটা ছবি তুলতাম আর প্রেমিকার চোখের মতো এর চোখের দিকেও তাকিয়ে থাকতাম অনেকক্ষন ধরে। কিন্তু কেন জানিনা কোথাও একটা কমতি ছিলো। “ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়” মিফতাহর এই গানের লাইনে গা ভাসিয়ে ডুব দিতে পারছিলাম না। প্রত্যেকটা ছবিতেই কোথাও না কোথাও একটা মিসিং কিছু ছিলো। কতবার বলাবলি করেছি, ভাই জানেন, যেদিন কাটুয়া চিলের ইঁদুর ধরা চাহনি টা পাবো, সেদিনই মনে করবো সার্থক। তার আগ পর্যন্ত কাটুয়ার কোনো ছবি আপ দেবোনা।
অবশেষে সে ধরা দিলো। হাজার বছরের প্রতিক্ষার পর সেই চাহনি নিয়ে আজ সে তাকালো আমার দিকে। কত বার ওই চাহনি আটকানোর চেষ্টা করেছি…!! অবশেষে সে ধরা দিলো।
তারপর???
তারপর আরকি, ডুব দিলাম তার চোখের অনন্ত মায়ায়। যে চোখের দিকে তাকালে চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার সাধ্য কারোর নেই। যে চোখের গভীরে ডুব দিতে আমার বিন্দুমাত্রও কোনো আপত্তি নেই…..!!